মুক্তি বাহিনীকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলো স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা

১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশ পেতে আক্রমণকারী পাকিস্তানি বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা দিতে একজোট হয়েছিলো পুরো জাতি, বাদ যায়নি শিল্পীরাও। দেশ জয়ের যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলো স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা, যাদের অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। স্বাধীন বাংলা বেতারের এই শিল্পী নিউজ টোয়েন্টিফোরের সাথে বললেন মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলির কথা।

১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব সময়ে সৈয়দ হাসান ইমাম পরিচালনা করেছেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের মঞ্চে নাটক-নাটিকা ও গণসঙ্গীত।

১৯৭১ সালে ফেব্রুয়াররি মাসে তাকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় শিল্পীদের প্রতিবাদী সংগঠন “বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজ”। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তারা বর্জন করেছিলো পাকিস্তান বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান। তাদের গণআন্দোলনের চাপে পাকিস্তানী সরকার ৮ মার্চ থেকে বেতার টেলিভিশনের দায়িত্ব বিক্ষুব্ধ শিল্পীদের হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

আরও পড়ুন

এখন রাজনীতি করার পরিবেশ নেই

দেশে এখন সবাই আওয়ামী লীগ: নানক

কৌশল পাল্টাচ্ছে মাদক চোরাকারবারীরা

‘স্বপ্নে’ নাকি আম পেয়েছে, তাই দেখতে আমজনতার ঢল

২৫ শে মার্চের পর হাসান ইমাম চলে যান মুজিব নগরে। যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। এরপর ওই বছরেরই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে নাট্য বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পান।

১৯৬৯-এর গণ আন্দোলনের সময় সংস্কৃতি সংসদ আয়োজিত প্রায় ১০ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বাংলা একাডেমির বটমূলে মঞ্চায়িত রক্তকবরী নাটকটি বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল।

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে সরকার সংস্কৃতি চর্চা আরো বাড়াবে এমনটিই প্রত্যাশা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই শিল্পীর।

news24bd.tv আহমেদ