দয়া করে জেনে রাখুন, এটা লীনা দিলরুবার ছবি

যার ছবি দেখছেন, তার নাম লীনা দিলরূবা। প্রথম আলোর আলপিন পাতায় লিখত হাস্যজ্জ্বল সব লেখা। পড়াশুনা করত অনেক। সাহিত্য নিয়ে ওর আগ্রহ এবং কাজ রয়েছে প্রচুর। সে সময় থেকেই ওকে চিনি। ‌

পরিশ্রম করে নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে সম্মানজনক চাকরি করছে। জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসুসহ আরো অনেক স্বনামধন্য কবি ও লেখককে নিয়ে লিখে চলেছে অনবদ্য সব রচনা। অথচ কয়েকটি পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল ওর ছবি ব্যবহার করছে অবন্তিকা বড়াল নামে।  

পিকে হালদারের সঙ্গে অবন্তিকা বড়ালের সম্পর্ক নিয়ে যখন সংবাদ পরিবেশন করছে, তখন বারবার লীনা দিলরূবার ছবি দিচ্ছে। এরইমধ্যে দেশের কয়েকটি গণমাধ্যম লীনা দিলরূবার ছবি নির্দ্বিধায় ছেপে দিয়েছে। লীনা দিলরূবা প্রতিবাদ করায় পরেই কেবল ভুল ছবি ছাপা থামিয়েছে। কিন্তু নতুন নতুন 'উদ্যমী রিপোর্টার' কিংবা গ্রাফিক্সের করিৎকর্মা কোন কর্মী সুযোগ পেলেই অন্য এক নারীর জায়গায় লীনার ছবি ছেপে দিচ্ছে।  

সাংবাদিকতার কিছু নিয়ম-নীতি আছে। প্রথম যারা ছেপেছিল, তারা হয়তো ভুল করে ছাপতে পারে। কিন্তু পরে যারা ছাপল, তারাও কেউ যাচাই-বাছাই করল না? এত বড় সব অনুসন্ধানী রিপোর্টার! 

একেক জায়গায় এরকম অবমাননার জন্ম দেওয়া হবে, আর লীনা দিলরূবা বারবার ফোন করে তাদের ভুল ধরিয়ে দিতে থাকবে? এটা কতদিন চলবে?

মিয়ানমারে নিহত ৭০, সতর্ক করলো জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্ত কর্মকর্তা

দেশে করোনায় মৃত্যু আবারও বাড়ল

স্ত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ, সন্ত্রাসীদের হাতে স্বামী খুন

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই গণতন্ত্র হরণ করে: ফখরুল

বা একটু ঘুরিয়ে প্রশ্ন করা যায়, সাংবাদিকতা কি সত্যিই তলানিতে এসে ঠেকেছে? কোন হাউজেই কি এসব অদক্ষতা দেখার কেউ নেই?

*লীনার ছবিটা আমি ওর অনুমতি নিয়ে এখানে দিলাম। আমার সাংবাদিক বন্ধুরা দয়া করে জেনে রাখুন, এটা লীনা দিলরুবার ছবি। আপনারা অন্য কারো ছবি ছাপতে গিয়ে লীনার ছবি ছাপলে তা যে পুরো সাংবাদিকতা পেশার জন্যই অবমাননাকর হয়, সেটা আশা করি উপলব্ধি করবেন।

সাংবাদিক, জাহিদ রেজা নূর (ফেসবুক থেকে নেয়া)

news24bd.tv নাজিম