ফোনে বোনকে ধর্ষণের কথা বলায় ধর্ষকরা হত্যা করল মাদ্রসাছাত্রীকে

নোয়াখালীতে মাদ্রসাছাত্রীকে(১৬) প্রেমিকসহ একাধিক তরুণ মিলে ধর্ষণের পরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার তরুণী ধর্ষকের বাসা থেকে তার বোনকে ফোন করে বিষয়টি জানানোর পর ধর্ষকরা তার ফোন নিয়ে বন্ধ করে দেয়। এরপর ধর্ষণ শেষে তাকে বেধড়ক মারধর করে হত্যা করে বলে অভিযোগ জানিয়েছে মাদ্রাসাছাত্রীটির বড় বোন।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মাইজদী রেললাইনের পাশে একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই কিশোরী উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অভিযুক্ত ধর্ষক  রায়হান বেগমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ খানপুর গ্রামের ডা.আবদুল মোতালেবের ছেলে।

নোয়াখালীর চরমটুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রাকিবের (২০) সহযোগিতায় প্রেমিক রায়হান উদয় সাধুরহাট বাজার থেকে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে কৌশলে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। পরে মাইজদী রেললাইনের পাশে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে কথিত প্রেমিক রায়হানসহ একাধিক তরুণ মিলে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে।

সুযোগ পেয়ে কিশোরী বেলা ১১টার দিকে কৌশলে তার বড় বোনকে ফোন করে ঘটনাটি জানায়।

রাতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার প্রেমিকা

ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করলো ভাসুর!

কিশোরকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী!

অশ্লীল ভিডিও চ্যাটিং ইসলামে ব্যভিচারের অন্তর্ভুক্ত

মেয়েটি ফোনে তার বড় বোনকে জানায়, আপু আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমারে এখান থেকে নিয়ে যা। আমি মাইজদীর আশপাশে আছি। তবে একেবারে সঠিকভাবে বলতে পারবো না কোথায় আছি। আমি পরে তোদের সব বলব। এর পরেই ধর্ষণকারীরা নির্যাতিত কিশোরীর ফোন বন্ধ করে দেয়। ধর্ষণ শেষে তাকে বেধড়ক মারধর করে হত্যা করে।

দুপুর দেড়টার দিকে অভিযুক্ত রায়হান ওই কিশোরীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে ওই কিশোরীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহতের স্বজনেরা রায়হানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এদিকে এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ওসি সাহেদ উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহ ময়নাতন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

news24bd.tv/আলী