করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মসজিদ কিংবা অন্যান্য উপাসনালয়ে নামাজ ও প্রার্থনার আগে ও পরে সব ধরনের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এছাড়া আরো কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সব মসজিদে জুমা ও ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে ও পরে গণজমায়েত নিরুৎসাহিত করতে এ অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মসজিদে তারাবিসহ অন্যান্য নামাজ আদায়ের সময় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও প্রার্থনার সময় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে গত সোমবার যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়। নির্দেশনা মানা না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।
গত সোমবার (৫ এপ্রিল) মসজিদে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে ১০টি শর্ত মানতে অনুরোধ করেছিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। শর্তগুলো হলো:-
১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
‘শিশু বক্তা’ কে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
'শিশুবক্তা' রফিকুল ইসলাম আটক
'শিশুবক্তা' রফিকুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানাল মাওলানা মামুনুল হক
নিষ্কৃতি দেওয়ায় আমি সত্যিই আনন্দিত
৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিদের নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন।
৬. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৮. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।
৯. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামরা দোয়া করবেন।
১০. সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
news24bd.tv নাজিম