ক্যাম্পাস এখন তাদের দখলে

আগুনে পুড়ে গেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল অঞ্চলের গাছপালা-লতাগুল্ম, সেই সাথে সেখানে থাকা আরও প্রাণসমষ্টি। এতে বোধহয় সুবিধাই হলো ক্যাম্পাসে রাজত্ব করা ঠিকাদার আর তাদের সহযোগীদের।  

ক্যাম্পাসে এখন কোনো শিক্ষার্থী নেই। শিক্ষক যারা সেখানে থাকেন তারা ঘরবন্দী, উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা দীর্ঘদিন আইসোলেশনে। তবে নানা ফাইল আটকে থাকলেও নির্মাণকাজের ফাইল চলছে। ঠিকাদাররাই তাই দাপট নিয়ে ক্যাম্পাসে খালি জায়গায় একের পর এক খুঁটি বসাচ্ছেন।  

গাছ কাটা পড়ছে, উচুনীচু সমান হচ্ছে, উন্মুক্ত স্থান ভরে যাচ্ছে, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগ প্রস্তাব সুপারিশ উপেক্ষা করে নানা ভবন বিভিন্ন স্থানে উঠে যাচ্ছে। নকশা, তার গুণগত মান সবকিছু নিয়েই অনেক প্রশ্ন আছে।  

এগুলো সেই ‘উন্নয়ন’ যা নিয়ে বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলন হয়েছিল, উপাচার্য দুই দফা দাবি মেনে নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে চুক্তিও করেছিলেন, দুর্নীতির নানা কাহিনী প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের দুই কর্তা চাকরি হারিয়েছিলেন।  

মানুষের জীবন বাঁচাতে আমরা কঠোর লকডাউনের দিকেই যাচ্ছি: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউননের চিন্তা করছে সরকার: কাদের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯ থানা, ১২ পুলিশ ক্যাম্প ও ফাঁড়িতে এলএমজি নিয়ে প্রস্তুত পুলিশ

মাওলানা মামুনুলের ফেসবুক পেজে নেই সেই লাইভ ভিডিও

এতোসবের পরও অভিযোগ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ্য তদন্ত হয়নি, উল্টো প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগকারীদের হুমকি দিয়েছিলেন। অভিযোগকারী শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাঁদের অভিযোগের পক্ষে সব কাগজপত্র সরকারের কাছে জমাও দিয়েছিলেন। কোনো কাজ হয়নি। একে প্রধানমন্ত্রীর হুমকি আর তার উপর করোনা- মহা আশির্বাদ হয়ে এসেছে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত ঠিকাদার আর তাদের সহযোগীদের জন্য। ক্যাম্পাস এখন তাদের দখলে।

আনু মুহাম্মদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (ফেসবুক থেকে)

news24bd.tv নাজিম