ত্রাসের রাজত্বের অবসান করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে : মির্জা ফখরুল

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে আমরা সকলেই ব্যর্থ হয়েছি মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,দানবের হাত থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে হবে। বর্তমান ত্রাসের রাজত্বের অবসান ঘটাতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।  

বৃহস্পতিবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) করোনা মোকাবেলায়: স্থানীয় সরকার ভূমিকা শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসডি'র সভাপতি আসম আবদুর রব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ৫০ বছরে ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে আমরা যা অর্জন করেছিলাম তার সবকিছু সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন প্রয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা।

অনুষ্ঠানে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, করোনা মোকাবেলায় জনগণকে সম্পৃক্ত ও জাতীয় ঐক্য স্থাপনের লক্ষ্যে বিদ্যমান মডেল পরিবর্তন করে নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা প্রয়োজন।   করোনা মোকাবেলায় ৫টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে- (১) করোনা মোকাবেলায় বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রতিরোধ ও মানসম্পন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ;  (২) স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে জনগণকে সম্পৃক্তকরণ;  (৩) দারিদ্র সীমার নীচে প্রায় ৫ কোটি জনগণকে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ;  (৪) স্থানীয় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সকল পর্যায়ে জাতীয় ঐক্য স্থাপন; এবং  (৫) হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের লক্ষ্যে টিকার বিকল্প উৎসের সন্ধানসহ জাতীয় পর্যায়ে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ।  

জেএসডি সভাপতি আরও বলেন, করোনার ভয়াল থাবায় ইতোমধ্যে প্রায় ৫ কোটি জনগণ দারিদ্র্য সীমার নিচে এসে পড়েছে। এই বিরাট জনগোষ্ঠীর খাদ্য সংস্থান এবং অর্থনৈতিক পুনর্বাসন ব্যবস্থার আওতাধীন না করে কোনোভাবেই করোনা মোকাবেলা করার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।

আলোচনা সভায় করোনা মোকাবেলায় জেএসডি ৪ (চার) দফা দাবি উত্থাপন করে: (১) করোনা মোকাবেলায় সমগ্র জাতিকে সম্পৃক্তকরণের প্রয়োজনে: (ক) জাতীয় পর্যায়ের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি 'জাতীয় কমিটি' গঠন করা;  (খ) জনস্বাস্থ্য বিশারদ, চিকিৎসক সংগঠন, পেশাজীবী. সাংবাদিক, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি, সমাজসেবী, এনজিও, শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি, আইন শৃঙ্খলা ও সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিসহ করানোর সম্মুখ যোদ্ধাদের নিয়ে করোনা 'জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি' গঠন করা।    (২) দুর্নীতিমুক্ত দক্ষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল’ গঠন করা ; (৩) বিদ্যমান স্থানীয় সরকার কাঠামো সমূহে জনগণের সকল অংশের অর্থাৎ অংশীজন সমাজ শক্তি ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব সম্পৃক্ত করা: (৪) দুর্বল স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও ক্ষমতায়ন করা ।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, সা কা ম আনিছুর রহমান খান, মো. সিরাজ মিয়া এবং তৌহিদ হোসেন। আলোচনা সভায় প্রস্তাব উত্থাপন করেন শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। ভার্চুয়াল আলোচনায় জেএসডি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

news24bd.tv/আলী