জুস খাইয়ে ক্ষেতে নিয়ে দুই পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে পোশাক কারখানার দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) জামালগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর বাবা।  

এর আগে ২৬ এপ্রিল সোমবার রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী দুই কিশোরীকেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন, চাঁনপুর আবুরহাঁটি গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৫) ও হরমুজ আলীর ছেলে আবুল কালাম (২৬)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরীই রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। লকডাউনের কারণে পরিবারের সাথে বাড়ি যায় তারা। কারখানা খোলার সংবাদে ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় দুই কিশোরী ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। বাড়ি থেকে তারা চাঁনপুর হারুন মার্কেটের সামনে এসে অভিযুক্ত আবুল কালামের টমটমে ওঠে। এ সময় কালাম তার বন্ধু আলমগীরকেও গাড়িতে ওঠায়।

পরে দুই কিশোরী জামালগঞ্জ ফেরিঘাটে এসে টমটম থেকে নামতে চাইলে টমটম চালক ঢাকার গাড়ি চলে না বলে তাদেরকে জানান। তখন তারা বাড়ি ফেরার জন্য ওই গাড়িতে উঠে বসে এবং অভিযুক্ত আলমগীর তাদের হাতে জুস ধরিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক খেতে বাধ্য করেন। জুস খেয়ে দুজনই অজ্ঞান হয়ে পড়লে আলমগীর ও কালাম তাদেরকে চাঁনপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

আরও পড়ুন

মামুনুল ইস্যু: ফেসবুকে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেয়ায় গ্রেপ্তার ২

পথ হারানো জীবনটা আবার চলুক জীবনের গতিতে

গরমে অতিষ্ঠ মানুষ, ৫ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস

এবার নরেন্দ্র মোদির পরিবারে করোনার থাবা

এরপর ধর্ষণের কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে রাত ১১টায় একই গ্রামের তোফাজ্জুল হোসেন ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই কিশোরীকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের সংবাদ দেন।

স্থানীয় মেম্বার ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় অসুস্থ দুই কিশোরীকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

এ বিষয়ে জামালগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

news24bd.tv আহমেদ