রাজধানীর খিলক্ষেত কুড়িল ফ্লাইওভারে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় সুভাষ চন্দ্র সূত্রধর (৩২) নামে দুবাই প্রবাসী এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
খবর পেয়ে খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক এসআই শাহিনুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৬মে) ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক খিলক্ষেত বাজার সংলগ্ন পূর্বাচল গামি ৩০০ ফিট রোডস্থ ফ্লাইওভারে গলায় গামছা পেছানো মাথায় আঘাত রক্তাক্ত উপর হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এসআই বলেন ,তার কাছে থেকে পাওয়া পাসপোর্ট থেকে জানা যায়, তিনি দুবাই থাকতেন গত বছরের১৩ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন।
পরে পাসপোর্ট এর ঠিকানা অনুযায়ী পরিবারকে খবর দিলে স্বজনরা এসে মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
তিনি আরো বলেন, পরিবার থেকে জানতে পেরেছি আগামী ৮ মে আবারো দুবাই যাবার কথা সেজন্য গতকাল বগুড়া গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় করোনা টেস্ট এর জন্য আসছিলেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
মৃতের ভায়রা ভাই শ্রী কৃষ্ণ বাবু জানান, বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা থেকে গতকাল রাত আটটায় তিনি মাইক্রো বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। করোনা টেস্ট এর জন্য। কারণ তিনি আগামী ৮ তারিখে আবারো দুবাই যাবেন সেজন্য টিকিটের টাকাসহ ৬০/৭০হাজার টাকা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসেন।
পরে ভোর রাত্রে নিহতের শাশুড়ির শ্রীমতি লক্ষ্মী রানী তার নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে সুভাষের নাম্বার বন্ধ পাচ্ছি তুমি ওকে খোঁজ করে দেখো। আমার বাসা খিলক্ষেত এলাকায় পরে আমি বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকি এর মধ্যে খিলক্ষেত থানা পুলিশ ফোন দিলে ফ্লাইওভারে গিয়ে সুভাষের গলায় গামছা পেঁচানো রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পাই। তবে তার কাছে কোন টাকা পাওয়া যায়নি।
স্বজনদের দাবি এটি একটি হত্যাকাণ্ড পুলিশ যেন হত্যাকারীদের কে খুঁজে বের করে সঠিক বিচার করেন।
মৃত সুভাষ বগুড়া জেলার, শিবগঞ্জ থানার,বড় নারায়নপুর গ্রামের মৃত সুবীর চন্দ্র সূত্রধরের ছেলে। পাঁচ ভাই তিন বোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট।
নিহতের আরো ৩ ভাই দুবাইতে থাকেন। গত বছরের দেশে এসে বিবাহ করেছিলেন সুভাষ।
news24bd.tv তৌহিদ