ইসরাইলকে শিক্ষা দিতে যা করছেন এরদোগান

ইসরাইলের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে গত ৯ মে পবিত্র শবে কদরের নামাজ শেষে আল-আকসা চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন ফিলিস্তিনিরা। এরপর ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী স্টান গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। এতে ৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।

এদিকে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে সংগঠিত করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

বৃহস্পতিবার তিনি আফগান ও কিরগিজ প্রেসিডেন্টর সঙ্গে ফিলিস্তিনে সম্প্রতি ইসরাইলি হামলার বিষয়ে টেলিফোনে আলোচনা করেন।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট অফিসের বরাত দিয়ে ইয়েনি শাফাক এর খবর জানানো হয়।

কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সদর জাপারোভের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ ছাড়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, এরদোগান বলেছেন আল-আকসা মসজিদ, গাজা ও ফিলিস্তিনিদের হামলাকারী ইসরাইলকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে উদ্যোগ নিয়েছে তার সঙ্গে তুরস্কের পাশাপাশি কিরগিজস্তানকে দেখতে চায়।

এ ছাড়া আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন এরদোগান। ফিলিস্তিনে চলমান ইসরাইলি হামলার বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ইসরাইলকে মোকাবেলা করতে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মিলিত কাজ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি আফগানিস্তানের যে কোনো জটিল পরিস্থিতিতে তুরস্ক পাশে রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন।  

এর আগে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন এরদোগান।

এর আগে বুধবার আলেজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন এরদোগান। এ সময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের বিষয়টি প্রাধান্য পায়।

news24bd.tv তৌহিদ