আমরা সত্য বলবই : কার্যালয় ধ্বংসের পর আলজাজিরা

গত কয়েকদিন ধরেই চলছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ। গত সোমবার (১০ মে) থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ আজও চলছে এবং গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ১৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪০টি শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯৫০ জন। গাজা উপত্যকায় বেসামরিক ও আবাসিক স্থাপনা টার্গেট করে বেপরোয়া হামলার ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী এবার মিডিয়া হাউসগুলোর কার্যালয় ভবনেও হামলা চালিয়েছে।   

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবস্থিত কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার কার্যালয়ে শনিবার বিমান হামলা করে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে ইসরায়েল। ওই ভবনে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) কার্যালয়ও ছিল। এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে আলজাজিরা। আলজারিরা বলেছে, সত্য প্রচারের ক্ষেত্রে তারা নীরব থাকবে না।

আলজাজিরার জেরুজালেম ব্যুরো প্রধান ওয়ালিদ আল ওমারি বলেছেন, ‘এটা স্পষ্ট যে, যারা এই যুদ্ধ চালাচ্ছেন তারা কেবল গাজায় ধ্বংস ও মৃত্যু ছড়িয়ে দিতে চান না, তারা গণমাধ্যমকেও নীরব করে দিতে চান। গাজায় যা ঘটছে সেটা যারা প্রত্যক্ষ করছেন, দলিল করছেন এবং সত্য প্রতিবেদন করছেন তাদেরও নীরব করতে চায়। কিন্তু এটা অসম্ভব। ’

ইসরায়েল কতৃক দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়াকে বড় অপরাধ হিসেবে দেখছেন ওমারি। তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত একাধিক অপরাধের মধ্যে এটি একটি অপরাধ। ’

ভবনটি গুড়িয়ে দিয়ে ইসরাইলের বিমানবাহিনী বলছে, এটি হামাসের সম্পতি ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এটি গোয়েন্দা কাজে ব্যবহার করত হামাস।

গাজার অফিসটিতে ১১ বছর ধরে কাজ করা আলজাজিরার সাংবাদিক সাফাওয়াত আল খালুত তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, দুই সেকেন্ডের মধ্যেই ভবনটি মাটির সঙ্গে মিশে যায়। তিনি বলেন, আমি ১১ বছর ধরে সেখানে কাজ করছি। আমি অনেক ঘটনা ভবনটি থেকে কাভার করেছি, আমরা ব্যক্তিগত পেশাদার জীবন যাপন করেছি, দুই সেকেন্ডের মধ্যে এখন সবকিছুই হারিয়ে গেল।

news24bd.tv/আলী