গাজায় ইসরাইল আর হামাসের লড়াইয়ে এই মানুষগুলোই মরছে প্রতিদিন

‘ওখানে আমাদের পরিবারের সদস্যরা আছে, স্বজনরা আছে। তারা কেমন আছে, কিভাবে আছে জানি না। তারা সেখানে অসহায়ভাবে মারা যাচ্ছে, আহত হচ্ছে। তাদের বাড়ীঘর ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমাদের বুক ভেঙ্গে যাচ্ছে। ’

কি আশ্চর্য! একদম এই কথাগুলোই বললেন দুই দল মানুষ। কিন্তু তারা এক পক্ষের নয়, পরষ্পরের বিপরীত স্র্রোতের মানুষ তারা। অথচ তাদের অনুভুতি এক, তাদের বেদনা এক, তাদের হাহাকার এক, তাদের আতংকও এক। ।

আগের দিন প্যালেষ্টাইনের সমর্থকরা গাজায় ইসরাইলি তান্ডবের প্রতিবাদ জানাতে অটোয়ায় হিউম্যান রাইটস মনুমেন্টস এর সামনে সমবেত হয়েছিলো। পরের দিন রোববার সমাবেশ করে ইসরাইল সমর্থকরা। দুই দলের পক্ষেই সেখানে বক্তৃতা হয়। কানাডীয়ান মিডিয়া কারো কারো বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রচার করে। সেই বক্তৃতাগুলো শুনতে শুনতে, পড়তে পড়তে কেমন যেনো গা কেঁপে ওঠে। আহা! ইসরাইল থেকে রকেট ছুঁড়ছেন যারা, বিমানে হামলা চালাচ্ছেন যারা, গাজা থেকে রকেট ছুঁড়ছেন যারা তাদের মনে কি এই ভাবনাগুলো একবারের জন্যও উদয় হয়!

সিবিসি টেলিভিশনকে প্যালেস্টিইনিয়ান শাহেদ হেলমি বলছিলেন, ওখানে আমার পরিবারের সদস্যরা আছে। তারা প্রতি মুহুর্তে জীবন মরনের শংকার মধ্যে সময় কাটাচ্ছে। এটা যে কতোটা হৃদয় বিদারক, তুমি তা ভাবতে পারবে না!’ পরের দিন সমাবেশ করতে এসে ঠিক এই কথাগুলো বলছিলেন ইসরাইলী ইয়েল ল্যাভিন- ওখানে আমার পরিবারের সদস্যরা আছে,জীবন আর মৃত্যুকে হাতে নিয়ে কাল কাটাচ্ছে, ভাবতে পারো!

আরও পড়ুনঃ

করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কবি জয় গোস্বামী

ফিলিস্তিনিদের বাঁচাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বাংলাদেশের

ধ্বংসস্তূপে ওপর দাঁড়িয়ে র‍্যাপ গাইল ফিলিস্তিনি শিশু (ভিডিও)

হাঙ্গর পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রকে জিপিএস হিসেবে ব্যবহার করে

দুই পক্ষের হয়ে সমাবেশ করতে আসা মানুষগুলোই বলছিলো- তোমার কি ধর্ম, তোমার এখনিক ব্যাকগ্রাউন্ড কি সেটা মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সংঘাতের শিকার তুমি, তোমার পরিবার। তোমার তো একটাই কেবল চাওয়া শান্তি, তোমার পরিবার যেনো নিরাপদ থাকে। শান্তিতে থাকে।

কি আশ্চর্য! কানাডার রাজধানী অটোয়ায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নিতে এসেও অভিন্ন কথাই বলে গেলেন ইসরাইল আর প্যালেস্টাইনিরা। অথচ গাজায় ইসরাইল আর হামাসের লড়াইয়ে এই মানুষগুলোই মরছে প্রতিদিন। সেখানে শান্তির কথা, পরিবারের জন্য উদ্বেগের কথা কোনো গুরুত্বই যেনো পাচ্ছে না।

news24bd.tv / নকিব