গরমে পায়ের যত্ন

গরম মানেই রোদ ত্বকের নাজেহাল অবস্থা। তাই হাত ও মুখের পাশাপাশি পায়ের আরামের জন্য খোলা স্যান্ডেলই হয়ে ওঠে বিশেষ পছন্দ। এতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় পায়ের ত্বক আর দেয় ফুরফুরে একটা আমেজ। কিন্তু এত রোদ, ঘাম আর ধুলা–ময়লায় করে দেয় নতুন নতুন সমস্যা। রোদ থেকে ত্বককে বাঁচাতে সানস্ক্রিন, ছাতা, স্কার্ফ আরও কত ধরনের সুরক্ষা অস্ত্র আমরা ব্যবহার করি। তবে রোদের ছোবল থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে পা যুগলও।

গ্রীষ্মের অতিরিক্ত রোদ পায়ের ত্বক পুড়িয়ে দেয়। তাই যতটা সম্ভব পা ঢেকে রাখতে হবে।

“গ্রীষ্মে যতটা সম্ভব পা ঢাকা পোশাক পরতে হবে। তবে পায়ের পাতা রোদ থেকে বাঁচাতে অবশ্যই বেশি এসপিএফ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া চাইলে পাতলা মোজাও পরা যেতে পারে। ” বললেন তিনি।

এই সময়ে অবশ্যই পা ঢাকা জুতা পরতে হবে। এতে পায়ে রোদের তাপ সরাসরি লাগবে না এবং পায়ের ত্বক পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ থাকবে।

গরমে তুলনামুলকভাবে বেশি যত্ন নেওয়া উচিত পায়ের। এছাড়া অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

“গরমের সময় পায়ের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হয়। নিয়মিত পা পরিষ্কার করা এবং নিয়ম করে পেডিকিওর করিয়ে নিলে পায়ের ত্বক পরিষ্কার থাকে। আর রোদপোড়া-ভাবও কমে যায়। ” এমনটাই বলেন ফারজানা শাকিল।

রোদপোড়া দাগ দূর করতে একটি ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

# চন্দন, মুলতানি মাটি, দুধ ও পাকাকলা চটকে মিশ্রণ তৈরি করে তা পায়ে লাগালে পায়ের ত্বক কোমল হবে এবং রোগেপোড়া দাগ কমবে। তাছাড়া নিয়মিত লেবুর রসে তুলা ভিজিয়ে পায়ে লাগাতে হবে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে।

# লেবুর রস ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তাই রোদপোড়া দাগ দূর করতে এটি খুবই কার্যকর উপায়।

# “সপ্তাহে একদিন কুসুম গরম পানিতে ভিনিগার বা লেবুর রস ও শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে পায়ের মৃতকোষ উঠে আসবে এবং ত্বক নরম হবে। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর ‘পা মাজনি’ বা ‘ঝামা’ দিয়ে পা ঘষে নিতে হবে। এতে পায়ের ময়লা ও শুষ্ক চামড়া পরিষ্কার হয়ে যাবে। ”

গরমে পায়ের নিয়মিত যত্নের ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-

- রোদ থেকে ঘরে ফিরে প্রথমেই পা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর পা মুছে হালকা ভেজা পায়েই বেশি করে ঘন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। এতে রোদে ও তাপের কারণে পা যে আর্দ্রতা হারাবে তা আবার ফিরে পাবে।

- অতিরিক্ত রোদের তাপ, ধুলাবালি এবং অযত্ন পা ফাটার মূল কারণ। তাই যাদের পা শুষ্ক হয়ে যায় এবং পা ফাটার সমস্যা আছে তাদের উচিত রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে নারিশিং জেল ব্যবহার করা। -  পা ফাটা, পায়ের চামড়ায় পোড়া দাগ ইত্যাদি দূর করতে প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর পেডিকিওর করানো উচিত। গরমে পায়ে আর্দ্রতা ধরে রাখবে এমন পেডিকিউর করানো উচিত। অ্যালোভেরা অথবা চকলেট পেডিকিওর এই মৌসুমের জন্য উপকারী।

- পায়ের ত্বকে যেন ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ না হয় এবং মৃত কোষ দূর করতে নারিশিং ফিট বাম বা লোশন ব্যবহার করতে হবে। আর ঘর থেকে বের হওয়ার ২০ মিনিট আগে বেশি মাত্রার এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন লোশন মেখে নিতে হবে।

news24bd.tv / এমিজান্নাত