দুনিয়ার এই সামান্য জীবনের পর আছে অনন্তকালের জীবন যার নাম আখিরাত। পরকালে মুক্তি এবং দুনিয়াতে সুখ শান্তি চাওয়া সকলেরই। তবে আখিরাতেই সেই শান্তি লাভে কারা সফল হবেন সে সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে ধারণা পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারিমে সফলতা লাভের বিষয়গুলো বারবার তুলে ধরেছেন। যা পালন করা অত্যন্ত জরুরি।
আল্লাহ তাআলা বলেন-যারা অদেখা (অদৃশ্য) বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুজি (জীবিকা) দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে। এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু আপনার (রাসুল) প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা আপনার পূর্ববর্তীদের (নবী-রাসুলদের) প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখিরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। (সূরা বাক্বারা: আয়াত ৩-৪)
উপরোক্ত আয়াতদ্বয়ে সফলতা লাভের ৬টি বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথ আমল করলে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ ও নাজাত লাভ বান্দার জন্য অবধারিত।
১. অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস: পঞ্চ ইন্দ্রিয় ও মেধা শক্তির দ্বারা যা জানা সম্ভব নয়, তা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ডাকে সাড়া দিয়ে তা বিশ্বাস করা। যে সব বিষয় মানুষের কাছে অদৃশ্যমান। যেমন- আল্লাহ, রাসুলের রিসালাত, পুনরুত্থান, জান্নাত, জাহান্নাম।
২. নামাজ প্রতিষ্ঠা করা: সব ধরনের আরকান-আহকাম, বিনয়, ভয়, নম্রতার আদব, হুকুমসহ যথাযথভাবে তা সম্পাদন করা।
৩. আল্লাহর পথে ব্যয়: আল্লাহ তাআলা মানুষকে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যত নিয়ামাত দান করেছেন তা আল্লাহর দ্বীনের (ইসলামের) জন্য সত্যের পথে ব্যয় করা এবং আল্লাহর নাফরমানি ও গর্হিত কাজে ব্যয় না করা। অর্থাৎ আল্লাহর পথে ফরজ, ওয়াজিব ও নফল দান-সাদকা করা বুঝানো হয়েছে।
৪. কুরআনের প্রতি বিশ্বাস করা: কুরআন পূর্ববর্তী যে সব আসমানি কিতাব পৃথিবীতে এসেছে শুধু সেগুলোর প্রতি বিশ্বাস করে কুরআন অবিশ্বাস করা যাবে না। বরং কুরআনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।
আরও পড়ুন
লাদাখে যুদ্ধবিমান নিয়ে চীনের মহড়া,পর্যবেক্ষণ ভারতের
মুফতি মনির ও হাবীবুল্লাহকে বারিধারা মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার
করোনা কালের নতুন দরিদ্রের হিসাব মানেন না অর্থমন্ত্রী
বেরোবি থেকে কলিমুল্লাহ আউট, নতুন ভিসি নিয়োগ
৫. পূর্ববর্তী আসমানি কিতাবের বিশ্বাস: শুধুমাত্র কুরআনকে বিশ্বাস করে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক প্রেরিত পূর্ববর্তী নবী রাসুলগণের ওপর অবতীর্ণ হওয়া আসমানি গ্রন্থ তাওরাত, ইঞ্জিল ও যাবুরের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা।
৬. পরকালের প্রতি বিশ্বাস: বর্তমান জীবনের অবসারে পর দারুল আখিরাত তথা পরকালের প্রতি বিশ্বাস। অর্থাৎ শাস্তি ও পুরষ্কার প্রদানের যে দিবস তার ওপর পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করা।
যারা উপরোক্ত ছয়টি বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস রেখে কর্মে তা সম্পাদন করবে তারা দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা লাভ করবে। এ কর্ম সম্পাদনকারীদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন - তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম।
আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত কাজগুলোর প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও কাজে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
news24bd.tv আহমেদ