বিষণ্ণতা থেকে বাঁচতে

বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন ডিপ্রেশন একটি মেন্টাল ডিসঅর্ডার এবং  মারাত্মক ব্যাধি। জীবনের কোনও না কোনও সময় কমবেশি স্ট্রেস, বিষণ্ণতায় ভোগাটা স্বাভাবিক। তবে দীর্ঘদিন ধরে এটি চলতে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। , যার কারণে মানুষের জীবন ক্ষতবিক্ষত হয়ে যেতে পারে।

অনেক সময়, আমরা আমাদের মন খারাপকে বিষণ্ণতা বলে মনে করি। কিন্তু দুঃখবোধ হলো সাময়িক মন খারাপ, যা কিছু সময়ের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। যার কোনও চিকিৎসার দরকার হয় না। কিন্তু ডিপ্রেশন দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

বিষণ্ণতার কারণ বিভিন্ন কারণে বিষণ্ণতা দেখা দেয়। যেকোনো মাসসিক আঘাত, নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ হওয়া, হঠাৎ বড় দুঃসংবাদ, আপন কারোর মৃত্যু ইত্যাদি হতে পারে বিষণ্ণতার কারণ।

আরও পড়ুন

সিলেটের জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান!

অনুশীলনের সময় মারা গেলেন অলিম্পিকের স্বর্ণ জয়ী ব্যাডমিন্টন তারকা

ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা আদনানেন সন্ধান চেয়ে জিডি

মোংলা হাসপাতালে ১৫টি বেডসহ করোনা সুরক্ষা সামগ্রী দিল ভারতীয় কোম্পানি

লক্ষণ

#এক্ষেত্রে ব্যক্তির মন-মেজাজের পরিবর্তন হয়। সবকিছুতেই নেতিবাচক মনোভাব দেখা যায়। #তারা সাধারণত স্বাভাবিক কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে, শক্তিহীন, অলস ও নিস্তেজ বোধ করে। ঘুম হয় না। ক্লান্তি অনুভব হয়। #রোজকার খাদ্যাভাসে অনীহা দেখা দেয়। নিজের প্রতি খেয়াল রাখার ইচ্ছা থাকে না। যেকোনও কাজে মনোযোগের অভাব দেখা দেয়। #অল্পতেই কেঁদে ফেলার ইচ্ছা হয়। #কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাঁচার ইচ্ছে চলে যায়। #অবসাদের সবচাইতে বড় উপসর্গ হলো যেটা করতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার কথা সেটা না করার ইচ্ছা। বিষণ্ণতা দূর করার উপায়।

বিষণ্ণতা সব বয়সের মানুষের হতে পারে। যেমন মানুষের ক্ষতি করে, তেমনি এর থেকে মুক্তির উপায়ও আছে। তবে এগুলোতে কাজ না হলে অবশযই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

#গান বা মিউজিক শুনতে পারেন। মানুষের মনকে নিমেষের মধ্যে বদলাতে পারে এটা। মিউজিক শুনলে আমাদের মন শান্ত হয়ে যায়। মস্তিষ্ক আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। #পর্যাপ্ত সময় ঘুমানো উচিৎ এবং সঠিক সময় খাবার খাওয়া উচিত। #বাইরে ঘুরতে যাওয়া ও নিজের জন্য শপিং করতে পারেন। #হাসির সিনেমা দেখতে পারেন বা কমিকস্ পড়তে পারেন। #শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। #নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন।

news24bd.tv/এমিজান্নাত