সুদিনের আভাস মিলছে তৈরি পোশাক খাতে

করোনাকালেও সুদিনের আভাস মিলছে তৈরি পোশাক খাতে। উদ্যোক্তারা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মিয়ানমার ও ভারত থেকে অনেক রপ্তানি আদেশ স্থানান্তর হয়ে আসছে বাংলাদেশে। যার সুফল মিলছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে। এক্ষেত্রে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি  টেকসই করতে সরকারের নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর বিনিয়োগকারীদের উৎসাহী করার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।

তেরো হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস; প্রাকৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক সৌন্দর্যের সাক্ষ্যবহকারী মিয়ানমার। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও বাংলাদেশের প্রতিবেশী এই দেশের প্রধান অর্থনৈতিক ফসল ধান হলেও পর্যটন ও পোশাক শিল্পেরও আছে অনন্য অবদান। জাতিসংঘের ইউএন কমট্রেডের তথ্য বলছে, মিয়ানমারের পণ্য রপ্তানি আয়ের ৩০ শতাংশের নির্ভরতা টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্প খাত ঘিরে।

তবে সেনা অভুত্থান আর ভূ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশটির পোশাক খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। যার সুবাতাস এসে মিশেছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে।

দেশীয় উদ্যোক্তারা বলছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য পরিসংখ্যান না থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে কেবল মিয়ানমার নয় প্রতিবেশী ভারত থেকেও কিছু ক্রয়াদেশ স্থানান্তর হয়ে আসছে বাংলাদেশে। যার সুফল পাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

ইউরোপ-আমেরিকায় প্রায় শতভাগ টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়ন হওয়ায় অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সেখানকার অর্থনীতি। তাই বাড়ছে পোশাকের ক্রয়াদেশও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমার ও ভারত থেকে যেসব ক্রয়াদেশ স্থানান্তর হয়ে আসছে তা টেকসই করতে উদ্ভাবনী ও কৌশলী হতে হবে উদ্যোক্তাদের; এক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর বিনিয়োগ আকর্ষণের কথাও বলছেন বিশ্লেষকরা।

হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরের সবশেষ ১১ মাসে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২৮৫৬ কোটি ডলার; যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ১১ শতাংশ। তবে সম্প্রতি মিয়ানমার ও ভারতের স্থানান্তর হওয়া ক্রয়াদেশ পোশাক শিল্পের জন্য আরো বড় সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে বলে মতো উদ্যোক্তাদের।

আরও পড়ুন:

বিধিনিষেধ বাড়ল যে কারণে

রেকর্ড মৃত্যুর দিনে শনাক্ত ৯,৯৬৪

ভারতের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ নেই: পাকিস্তান

করোনা আক্রান্ত বেশি গ্রামে না শহরে জানালেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

পুরুষদের দাড়ি রাখতেই হবে, একা বের হতে পারবেন না নারীরা

news24bd.tv / তৌহিদ