লকডাউন শিথিল হওয়ার প্রথম দিনেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। ঢাকা ছাড়তে তাই সকাল থেকেই রাজধানী বাস ও রেল স্টেশনে দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের ভিড়। বাসে বা ট্রেনে উঠতে স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা মানা হলেও, টিকিট কাটার লাইনে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধির বালাই।
নুন্যতম স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না লোকাল ট্রেনগুলোতেও। লোকাল ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা কঠিন জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কাজ করছেন তারা। তারই অংশ হিসেবে প্লাটফর্মে মানুষের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করায় বৃহষ্পতিবার থেকে সারা দেশে ৩৮ জোড়া আন্তনগর এবং ১৯ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করছে। আর রেল চলাচলের প্রথম দিনই আসন সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে চাঁপাই নাবগঞ্জ থেকে আসে একটি লোকাল ট্রেন। এই ট্রেনে গাদাগাদি করে আসা মানুষগুলোর কাউকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
তবে আন্তনগর ট্রেনগুলো চলছে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে। জীবণুনাশক ছিটানোর পাশাপাশি ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেয়া হচ্ছে সেখানে।
এদিকে, প্রথম দিনের ট্রেন চলাচল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রেলমন্ত্রী জানান, কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:
নেত্রকোনায় নতুন শনাক্ত ১০১
জেনে নিন করোনার সবকটি ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে পার্থক্য কী!
ওজন বাড়াতে হলে দুপুরে ঘুমাতে হবে
একই সাথে দূরপাল্লার বাস সহ সকল গণপরিবহন চলতে শুরু করেছে। সেখানেও ছিল সাস্থ্যবিধির বেহাল দশা। এক সাথে গাদাগাদি করে টিকেট কিনতে ভিড় করেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, সাস্থ্যবিধি বাস কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এভাবেই সবাইকে দাঁড়াতে হচ্ছে। আর বাস কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা।
চলমান এই শিথিল অবস্থা বহাল থাকবে ২৩ জুলাই ভর ৬টা পর্যন্ত। এরপর করোনা মহামারির বিস্তার রোধে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
news24bd.tv রিমু