এই শুক্রবার রেকর্ড সংখ্যক বিক্রি করতে চাই : ইভ্যালি এমডি

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ইভ্যালি প্রসঙ্গ এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে দেশের গণমাধ্যমেও বিভিন্ন ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যেই বিভিন্ন সময় দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে খবর আসে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয় বন্ধ এবং হট লাইনেও তারা গ্রাহক ও মার্চেন্টদের ফোন রিসিভ করছে না।  

এছাড়া ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমেও চলছে  ইভ্যালি প্রসঙ্গে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার ইভ্যালির অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে এক স্ট্যাটাসে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল লিখেছেন,

এটি কারো অজানা নয় ইকমার্স একটি টার্নিং পয়েন্ট এ আছে। ইতিমধ্যে যে সকল ডিসকাউন্ট আপনারা পেয়েছেন সেগুলোর একটাই উদ্দেশ্য ছিল ইকমার্স এর প্রসার। আজ ইকমার্স এর ব্যাপক  প্রসার হয়েছে। এখন হয়তো ডিসকাউন্ট পূর্বে মত বেশি থাকবে না । আপনাদের কেনাকাটা আগ্রহ কম থাকবে।  

আপনারা যদি ইভ্যালি অতিত কেনাকাটা সন্তুষ্ট থাকেন, আমার অনুরোধ আমাদের আগামী T10 অন্তত একটি প্রয়োজনীয় জিনিস অর্ডার করুন। রেগুলার কেনাকাটা থেকে শুরু হোক আমাদের নতুন যাত্রা। এতে ইভ্যালি এর মূল শক্তি প্রকাশ পাবে। আর ইভ্যালি যত শক্তিশালী হবে, তত দ্রুত অতীতের ডেলিভারি সম্পন্ন করতে পারবে।

আমরা এই শুক্রবার রেকর্ড সংখ্যক বিক্রি করতে চাই যেখানে ডিসকাউন্ট পরিমাণ থাকবে অতীতের চেয়ে কম কিন্ত মূল্য মার্কেট রেট থেকে অবশ্যই কম।

এই ইভ্যালি আপনাদের।   ইভ্যালি হোক বাংলাদেশের সেরা ইকমার্স। আমি এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি।   নিজে কিনুন এবং সবাইকে বলুন।

অন্তত এই অর্ডারগুলোর ক্ষেত্রে আপনার পণ্য হাতে পাওয়ার পূর্বে আমরা টাকা পাবো না।

প্রসঙ্গত, ইভ্যালির সম্পদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি দেনা বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে উঠে আসে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা।

ইভ্যালির ওপর করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ জুলাই অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের ৪ প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

news24bd.tv/আলী