পদ্মা,মহানন্দা,পাগলা ও পুনর্ভবা নদী বাঁচাতে মহা পরিকল্পনার প্রয়োজন বলে মনে করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকের বক্তাগণ। আজ শনিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার মিলনায়তনে ‘নদী বাঁচাও, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাঁচাও’ শ্লোগানে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাগণ এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
‘সেভ দ্য নেচার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে আলোচক ছিলেন, নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ উদ্ভিদবিদ্যা বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ দাউদ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সমাজ সেবক মনিম-উদ-দৌলা চৌধুরী, শফিকুল আলম ভোতা ও এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম রেজা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা, পাগলা, পদ্মা ও পুনর্ভবা নদীর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন সেভ দ্য নেচারের প্রধান সমন্বয়ক ও গণমাধ্যমকর্মী রবিউল হাসান ডলার, সমন্বয়ক শহীদুল হুদা অলক, ফয়সাল মাহমুদ এবং এমএ মাহবুব।
বক্তারা আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী পানির হিস্যা আদায়ের পাশাপাশি মৃতপ্রায় নদীগুলো পুরোপুরি খননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান।
আলোচনায় বক্তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪টি নদীর অতীত অবস্থান উল্লেখ করে বলেন, নদীগুলো ঐতিহ্য হারিয়ে এখন মৃতপ্রায়। নদী তার জৌলুস হারানোয় মানুষও তাদের জীবিকা হারিয়েছে। পরিবেশের ওপরও পড়েছে এর নেতিবাচক প্রভাব। নদী দখল, দূষণ, পানি প্রত্যাহার, প্রভাবশালীদের নিয়মবহির্ভুতভাবে বালি ও মাটি উত্তোলনসহ নানা অব্যবস্থাপনা ও জটিলতার কারণে দিনদিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে নদীগুলো। ফলে ব্যাহত হচ্ছে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ। প্রমত্তারূপ হারিয়ে নদীগুলো সরু নালায় পরিণত হয়েছে।
এছাড়া মহানন্দা বেষ্টিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৫টি পানি নিষ্কাশন ড্রেনের কারণে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। আবার ইতোমধ্যে মহানন্দায় রাবার ড্যাম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফলে পৌরসভার ড্রেনের পানির মাধ্যমে নদীর দূষণ মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এই প্রকল্পের আওতায় মহানন্দার পানি দূষণরোধে ড্রেনের পানি শোধনসহ দু’টি মাস্টার ড্রেন নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা।
বক্তরা আরও বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় এবং নদী ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্বচ্ছতা না থাকায় নদী দখল ও দূষণ বাড়ছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে তা বন্ধ করতে হবে। বৈঠকে শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রফিকুল/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর