ফরিদপুরে এ বছর কমেছে পাটের আবাদ। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মৌসুমের শুরুতে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ায় এ বছর পাট চাষ করেননি অনেক কৃষক।
তাছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে পাটের গোড়ায় পঁচন ধরায় অপরিপক্ক অবস্থাতেই পাট কেটে ফেলছেন অনেকে। এদিকে, শেরপুর জেলায় এবার গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ করছে চাষিরা। কিন্তু প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাট পঁচাতে পারছেন না কৃষক। এতে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সময়মতো আমন ধানের চারা রোপণ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন পাট চাষিরা।
দেশের পাট উৎপাদনকারী জেলাগুলোর মধ্যে ফরিদপুর অন্যতম। কিন্তু এবছর মৌসুমের শুরুতেই করোনা মহামারীর কারণে জেলায় শ্রমিক সংকট। অনেক কৃষকই পাট রোপণ করেননি।
অতি বৃষ্টির কারণে নিচু জমিতে পানি জমে থাকায় পাটের গোড়ায় পঁচন ধরেছে। ফলে অপরিপক্ক অবস্থায় পাট কেটে ফেলছেন কৃষকেরা। ফলে অন্যান্য বছর জমিতে বিঘা প্রতি যেখানে ১০-১২ মণ পাট পাওয়া যেত সেখানে এ বছর বিঘা প্রতি ৫-৭ মণ পাট পাওয়া যাবে বলে ধারনা করছেন তারা। ফলে লোকসানের শঙ্কায় তারা।
পানি আটকে থাকা জমির পাট দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের।
শেরপুরে দেখা যায় উল্টো চিত্র। এ জেলার কয়েক উপজেলায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদী-নালা, খাল-বিলে নেই পানি। ফলে পাট পঁচানোর জন্য জাগ দিতে পারছেন না পাট চাষিরা। অনেক চাষি বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন ও মোটরের পানি দিয়ে পাট জাঁগ দিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুণছেন। ফলে ভাল ফলন হলেও লাভের পরিবর্তে লোকসান গোনার আশঙ্কা করছেন তারা।
আরও পড়ুন:
পরীমনি-সাকলায়েনের অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল
বিধিনিষেধ শিথিল হলেও যা বন্ধ থাকছে
যে বিষয়ে কথা বলতে ইসরাইল সফরে গেলেন সিআইএ প্রধান
নব্য জেএমবির বোমা প্রস্তুতকারক আটক
শেরপুরের জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলছেন, বৃষ্টি না হওয়ায় বিশেষভাবে পাট পঁচানোর ব্যবস্থা করায় খরচ বাড়ছে কৃষকদের।
ভালো দাম পেলে এবং সময়মতো বৃষ্টি হলে সব শঙ্কা কাটিয়ে লাভের মুখ দেখবেন-এমন আশা পাট চাষিদের।
news24bd.tv নাজিম