ই-ক্যাবের সদস্যপদ হারাতে যাচ্ছে ই-অরেঞ্জ

ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের সদস্য পদ হারাতে যাচ্ছে বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ। প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষের নামে দায়ের করা প্রতারণার মামলার কারণে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ‘সাংগঠনিক ব্যবস্থা’ হিসেবে সদস্য পদ বাতিল হতে পারে বলে জানা যায়। ই-ক্যাবের পরিচালক আসিফ আহনাফ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ এবং অন্তত পাঁচ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হলে ই-অরেঞ্জ নিয়ে কী ভাবছে ই-ক্যাব, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ বলেন, ব্যবসায়ী সংগঠন হিসেবে আমরা শুধু সাংগঠনিক ব্যবস্থাই নিতে পারবো। সেটিই হওয়ার পথে। আপনারা দুয়েক দিনের মধ্যেই জেনে যাবেন।   

আসিফ আহনাফ আরও বলেন বলেন, আমরা ই-অরেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা জানিয়েছিল যে, তাদের মালিকানায় পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু কারা নতুন মালিকপক্ষ সে বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত কিছু জানায়নি। মালিকানায় যারা নতুন এসেছেন তারাও নিজেদের সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু জানায়নি। ই-কমার্স নির্দেশিকা হওয়ার পরেও কেন তারা আগের অর্ডার ডেলিভারি করছে না সেটি জানতে তাদেরকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের জবাব সন্তোষজনক ছিল না। ফলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করা হয়েছে।   

তিনি আরও বলেন, যেহেতু প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং নতুন মালিকপক্ষের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না কাজেই ই-ক্যাবে তাদের সদস্যপদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত এক প্রকার নেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে সেটা পরবর্তীতে জানানোও হবে। তবে সদস্য পদ বাতিলের এই সিদ্ধান্ত স্থায়ী নাকি সাময়িক সেটি এখনও বলা যাচ্ছে। ই-ক্যাব ই-কমার্স খাতের গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে বদ্ধ পরিকর এবং নিজস্ব সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে কারও বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করবে না।

আরও পড়ুন:

ইংরেজি হরফে বাংলা: বলতে চায় একটা অর্থ হয় আরেকটা

এবার পরীমণির জীবনী নিয়ে নির্মিত হবে সিনেমা!

কাবুলে মার্কিনিদের পিটিয়েছে তালেবান: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

আফগান ছেড়ে আসা এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়: বাইডেন

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান থানায় ই-অরেঞ্জের সাবেক ও বর্তমান মালিকপক্ষ এবং একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার ১শ কোটি টাকা প্রতারণার মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী। গ্রাহক ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া বিপুল অংকের এই টাকা আসামিরা আত্মসাৎ বা অন্য কোথাও পাচার করেছে কিনা সে বিষয়টিও আগের মামলার সঙ্গে খতিয়ে দেখছে আইন-শৃংখলা বাহিনী।

এর আগে প্রায় তিন দিন রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় এবং ই-অরেঞ্জের সাবেক ‘ব্র্যান্ড এম্বাসেডর’ মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা। বিক্ষোভের অংশ হিসেবে তারা গুলশান-২ চত্বরেও অংশ নিয়েছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধনও করেছিলেন তারা।

news24bd.tv/ নকিব