মিরপুরে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণ: আইসিইউতে আরও দুইজনের মৃত্যু

রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের একটি বাসায় গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ সুমন (৪০) ও শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় শিশুসহ দগ্ধ সাতজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হলো।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় শফিক এবং রাত আড়াইটায় সুমন মারা যান বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।

ডা. আইউব বলেন, মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে সাত জন আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে চার জনকে আইসিসিতে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে আইসিইউ’র ১১ নম্বর বেডে সুমন এবং ১৫ নম্বর বেডে শফিক মারা যান। শফিকের শরীরের ৮৫ শতাংশ এবং সুমনের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ ও ইনহ্যালেশন ইনজুরি হয়েছিল।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউ’র ১৪ নম্বর বেডে রিনা আক্তার নামের একজন মারা যান। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ও ইনহ্যালেশন ইনজুরি হয়েছিল।

ডা. আইউব হোসেন আরও বলেন, শিশুসহ তিন জন নারী এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আরও এক জন আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।

গত বুধবার দিবাগত রাতে মিরপুর-১১ নম্বরের সি ব্লকে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ সাত জন দগ্ধ হন। তাদের নাম-নওশীন (৫), শফিক (৩৫), সুমন ( ৪০), রওশন-আরা (৭০), রিনা (৫০), নাজনীন (২৫) ও রেনু (৩৫)।

তাদের মধ্যে নওশীনের ১৫ শতাংশ, শফিকের ৮৫ শতাংশ, সুমনের ৪৫ শতাংশ, রওশন-আরার ৮৫ শতাংশ, রিনার ৭০ শতাংশ, নাজনীনের ২৭ শতাংশ ও রেনুর ৩৮ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ও ইনহ্যালেশন ইনজুরি হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত আইসিইউতে রওশন-আরা ভর্তি রয়েছেন। আর ফিমেল এইচডিইউর ৩ নম্বর বেডে নওশীন, ১৮ নম্বর বেডে নাজনীন এবং ১৬ নম্বর বেডে রেনুর চিকিৎসা চলছে।