র্যাবের ধারণা, ওই সাতজন হলেন সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য আবদুল্লাহ, তার দুই স্ত্রী নাসরিন ও ফাতেমা, দুই ছেলে ওমর ও ওসামা, যাদের বয়স তিন থেকে নয় বছর এবং আবদুল্লাহর দুই কর্মচারী, যাদের নাম জানা যায়নি।
এর আগে বুধবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, 'ভবনটির পঞ্চম তলার একটি কক্ষে তিনটি লাশ পাওয়া গেছে। লাশগুলো দগ্ধ হওয়ায় পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। অভিযান এখনো চলছে। মনে হচ্ছে গত রাতের বিস্ফোরণে তারা মারা গেছে। '
গত রাতে ওই ভবন থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এরপর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। আজ সকালে ওই ভবনে তল্লাশি শুরু করে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেখান থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গি আবদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। তাঁর বাবার নাম ইউসুফ আলী (মৃত)। আবদুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে মিরপুর এলাকায় বসবাস করছেন। সেখানে তিনি টিটু মিস্ত্রি হিসেবে পরিচিত। ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি মেরামত করেন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে তার সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। তাকে দেখে কোনভাবেই মনে হতো না সে জঙ্গিবাদে জড়িত। ওই আস্তানায় আবদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর দুই স্ত্রী ফাতেমা ও নাসরিন আছেন। আছে দুই শিশু ওসামা ও ওমর। এছাড়া আবদুল্লার দুই সহযোগী আছেন বলে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
গত সোমবার রাত ১১টার দিকে মিরপুর মাজার রোডের বর্ধনবাড়ি এলাকার ‘কমল প্রভা’ নামের বাড়িটি ঘেরাও করে র্যাব। বাড়ির পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাটে জঙ্গিদের অবস্থান র্যাব চিহ্নিত করে। পরে বাড়ির বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সরিয়ে নেওয়া হয় অন্য ফ্লাটের বাসিন্দাদের।