আমরা অনেক তবু বদলাতে পারিনা, এখানেও কারণ মানুষ!

হতাশা দার্শনিক ভাবেও ধরা দেয়। যেমন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বেঁচে নেই, আমরা বেঁচে আছি! আমরা, যতোসব চলতি হাওয়ার পন্থী! বিদ্যাসাগরের হাতে নির্মিত হয় বঙ্গভাষা-গদ্যের আদল, জাগে নারী অধিকার আলাপ।  

তাঁর হাতেই জাগে প্রাণ শিক্ষায়, সমাজে। আর সেই সমাজ তাঁকেই করেছে একা!

রবীন্দ্রনাথ বলতেন, ‘বিদ্যাসাগর এই বঙ্গদেশে একক ছিলেন। ’ তিনি আপনার প্রাণের জোরে, কেবল আপনার বেদনার উত্তাপে একাকী আপন কাজ করিয়া গিয়াছেন।

আরো বলতেন, ‘আমাদের এই অবমানিত দেশে ঈশ্বরচন্দ্রের মতো এমন অখণ্ড পৌরুষের আদর্শ কেমন করিয়া জন্মগ্রহণ করিল, আমরা বলিতে পারি না। কাকের বাসায় কোকিলে ডিম পাড়িয়া যায়, মানব ইতিহাসের বিধাতা সেইরূপ গোপনে কৌশলে বঙ্গভূমির প্রতি বিদ্যাসাগরকে মানুষ করিবার ভার দিয়াছিলেন। ’

বিদ্যাসাগর একক, কিন্তু বদলে দিয়েছেন। কারণ ঐযে মানুষ! আমরা অনেক, তবু বদলাতে পারিনা। এখানেও কারণ মানুষ!

লেখাটি সাংবাদিক জুলহাস নূর-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া।  

news24bd.tv নাজিম