বিয়ে জটিলতা : নাসিরের ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে

অবৈধ তালাকের অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মী এবং তার মা সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেনে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সমন জারি করেন। ওই ৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেন তিনি। এতে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ৩ জনকেই আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

এর আগে নাসির ও তামিমার বিয়ে অবৈধ বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে আইনজীবী ইশরাত হাসানের মাধ্যমে আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান মামলার বাদী ও তামিমার স্বামী রাকিব হাসান।

আবেদনের পর নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছিলেন আদালত। এরও আগে ওই আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। এতে ক্রিকেটার নাসির, তামিমা ও তামিমার মা সুমিক আক্তারকে দোষি উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিমা ও রাকিবের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা। রাকিবকে ডিভোর্স না দিয়েই ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করেন তামিমা।

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ের বিষয়ে আইন কী বলে? অন্যের স্ত্রী জানা সত্ত্বেও কোনো বিবাহিত নারীকে কোনো পুরুষ যদি ফুসলিয়ে বা প্ররোচনার মাধ্যমে যৌনসঙ্গম করার উদ্দেশে কোথাও নিয়ে যায় বা একই উদ্দেশে কোথাও আটকে রাখে তাহলে সেটি একটি অপরাধ যা দণ্ডবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডনীয়, অথবা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে।  

আরও পড়ুন

নাটোরে অভ্যন্তরীণ বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে যাত্রীবাহি বাস, নিহত ৬

মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কিনা তা নির্ভর করছে আজকের ভোটের ওপর

আবারও চালু হচ্ছে কুয়েত-মদিনা ও কাঠমাণ্ডু রুটে সরাসরি ফ্লাইট

 

দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় ব্যভিচারের শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো বিবাহিত নারীর সঙ্গে তার স্বামীর সম্মতি ছাড়া যৌনসঙ্গম করে এবং অনুরূপ যৌনসঙ্গম যদি ধর্ষণের অপরাধ না হয়, তাহলে সে ব্যক্তি ব্যভিচারের দায়ে দায়ী হবে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয় দণ্ড। তবে ব্যভিচারের ক্ষেত্রে স্ত্রীলোকটির কোনো শাস্তির বিধান আইনে নেই।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে নাসিরের সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয় দণ্ড হতে পারে।

news24bd.tv/আলী