মাত্র ২০০ টাকা চুরির অভিযোগে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ধনতলা চৌমুহনী বাজারে আনিকা আক্তার নামের নয় বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই বাজারের বেলী বেগম নামের এক চা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার বিকেলে নির্যাতনের এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নড়ে চড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।
শনিবার বিকেলে চা বিক্রেতা বেলী বেগম চৌমুহনী বাজারে তার দোকানের ক্যাশে রাখা ২০০ টাকা খুঁজে না পেয়ে পাশেই খেলতে থাকা তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকাকে সন্দেহ করে। পরে তাকে ধরে এনে চড় থাপ্পর মেরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। এর এক পর্যায়ে ছাগল বাঁধার রশি দিয়ে আনিকাকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে। এ সময় শিশুটি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে কান্নাকাটি করতে থাকে।
আরও পড়ুন:
এসএসসি পরীক্ষার্থী লাভলী মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর প্রেমিকের বাবাকে বিয়ে করলেন তরুণী! প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর অনশনপ্রেমের সম্পর্ক গড়ে ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে দুদিন ধরে ধর্ষণ
আর পুরো ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও করে স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিলে বিষয়টি ভাইরাল হয়। পরে ফেসবুকে ভিডিওটি দেখে পুলিশ রাতেই শিশু নির্যাতনের অভিযোগে ধনতলা চৌমুহনী বাজারের ওই চা বিক্রেতা কে গ্রেপ্তার করে এবং মামলা দায়ের করা হয়।
চুরি না করেও শাস্তি পাবার কথা জানায় শিশুটি। আর এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এমন বর্বরোচিত নির্যাতন বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসি।
news24bd.tv/ কামরুল