বরিশালে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত

বরিশালে ভারত উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দিনে পুর্ণার্থীরা মহাশ্মশানে প্রিয়জনের সমাধীতে গিয়ে দ্বীপ জ্বেলে, পছন্দের খাবার সাঁজিয়ে রেখে চন্ডিপাঠসহ প্রার্থনা করেন। দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনাও করেন তারা। পূর্ণার্থীদের প্রার্থনার পরিবেশ সৃষ্টিসহ সব ধরনের আয়োজন করেছে মহাশ্মশান রক্ষা কমিটি।

করোনার কারণে স্বাস্থ্য বিধি রক্ষার চেষ্টা করা হলেও পূর্ণার্থীদের চাপে ভেস্তে গেছে সকল নিয়ম-কানুন। শ্মশান দীপালী উৎসব নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থার কথা জানালেন পুলিশ কমিশনার।

প্রতি বছর কালি পূজার আগের দিন ভূত চর্তুদশীর পূণ্য তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রয়াত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় সমাধিতে দীপ জ্বেলে, চন্ডি পাঠ করে এবং তাদের পছন্দের খাবার প্রদর্শন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রয়াত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনার আয়োজনকে বলা হয় দীপাবলি উৎসবে। সনাতন ধর্মাবলিম্বরা ছাড়াও অন্যান্য ধর্ম-বর্ণের হাজারো মানুষ দেখতে যান দীপাবলি উৎসব। এতে দীপাবলি পরিণত হয় সব ধর্ম-বর্নের মানুষের মিলনমেলায়।

গতকাল বুধবার সকাল ৭টা ৫মিনিটে এবারের লগ্ন শুরু হলেও দুপুরের পর থেকে মহাশ্মশানমুখি হতে শুরু করেন পুর্ণার্থীরা। বিকেলের পর থেকে ঢল নামে মহাশ্মশানে। সন্ধ্যার পর পুরো মহাশ্মশানে নজরকারা আলোকসজ্জায় বর্নিল হয়ে ওঠে আয়োজন। সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও অন্যান্য ধর্মবর্ণের মানুষ দেখতে যান দিপাবলী উৎসব। এতে মিলন মেলায় পরিণত হয় মহাশ্মশান।  

পূর্ণার্থীরা মহাশ্মশানে প্রয়াত স্বজনের আত্মার শান্তি এবং আর্শিবাদ কামনা করেন। প্রয়াতরা যেন পরলোকে ভালো থাকেন, শান্তিতে থাকেন, তারাও যেন ইহলোকে থাকা স্বজনদের জন্য আর্শিবাদ করেন সেই উদ্দেশ্যে সমাধীর কাছে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন তারা। এছাড়া দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করেন তারা।

মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার বলছেন, ভারত উপমহাদেশে এত বড় মহাশ্মশান এবং এত বর্নিল দিপাবলী উৎসব আর কোথাও নেই। কারোনার কারণে এবারের উৎসবে স্বাস্থ্য বিধি রক্ষার চেষ্টা করা হলেও আগতদের ভীরের চাপে অনেকাংশেই শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।  

এদিকে দীপাবলি উৎসব শান্তিপূর্ণ এবং নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।

এবার লগ্ন শেষ হয় আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ২২ মিনিটে। মহাশ্মশানে এবার ২০১ তম উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর কাউনিয়ায় প্রায় ৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত মহাশ্মশানে প্রায় ৬৫ হাজার সমাধী রয়েছে। এর মধ্যে বেওয়ারিশ সমাধী রয়েছে ৯শ’। যার তত্ত্বাবধান করে মহাশ্মশান কর্তৃপক্ষ নিজেরাই।

আরও পড়ুন

নরসিংদীতে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ৩

news24bd.tv এসএম