কঙ্গনার বিতর্কিত মন্তব্যে কূলকিনারা হারা বিজেপি সরকার

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানৌত। সৌন্দর্য আর অভিনয় দক্ষতায় জয় করেছেন লাখো ভক্তদের হৃদয়। তবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিভিন্ন সময় জড়িয়েছেন নানা বিতর্কে। কোন না কোন ইস্যু নিয়ে ক’দিন পরপরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন এই অভিনেত্রী।

এবার আরো একবার সমালোচনার মুখোমুখি কঙ্গনা। তবে তার এবারের মন্তব্যে তার চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে বিজেপি সরকার। বি-টাউনের এই নায়িকা বিজেপির বেশ ঘনিষ্ঠ। কিন্তু কঙ্গনার ‘ভিক্ষা স্বাধীনতা’ মন্তব্যের পর সমালোচনা মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তার এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।

তার এই মন্তব্যের কারণে তার কাছ থেকে অবিলম্বে পদ্মশ্রী সম্মাননা ফেরত নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা। এই অবস্থায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বিজেপি সরকার। আর বিষয়টি সামাল দেওয়ার জন্য কেউ কূলকিনারা পাচ্ছেন না।

মাত্র দিন চারেক আগে অভিনয়ে অসামান্য অবদানের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি ভবনে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে কঙ্গনাকে পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত করেন। আর এর পরে দেশটির একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভারত স্বাধীন হয়েছে ২০১৪ সালে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। আর ১৯৪৭ সালে পাওয়া স্বাধীনতা ছিল ‘ভিক্ষা’। এই মন্তব্যের পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের দাবি, কঙ্গনাকে দেওয়া সম্মাননা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক। কোনো কোনো দলের নেতা তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও এনেছেন। এই সম্মিলিত দাবির মুখে শাসক দল বিজেপি ও সরকার বিব্রত বোধ করছে।

কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা টুইট করে বলেছেন, এখনই কঙ্গনার পদ্মশ্রী খেতাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। রাষ্ট্রপতিকে ট্যাগ করে তিনি বলেছেন, এ ধরনের সম্মাননা অর্পণের আগে দেখা উচিত প্রাপক মানসিক দিক থেকে স্থিতিশীল কি না।

বিজেপি নেতা প্রবীণ শঙ্কর কাপুর হিন্দিতে টুইট করে লিখেছেন, ‘এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে হিসেবে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের তরফে আমি কঙ্গনা রনৌত যে মন্তব্য করেছেন, ভারতকে স্বাধীনতা ভিক্ষা দেওয়া হয়েছিল, এটাকে স্বাধীনতার (বাক-স্বাধীনতার) সবচেয়ে বড় অপব্যবহার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগের অপমান বলে মনে করি। ’

কঙ্গনা রনৌত কিছুকাল ধরে মোদি সরকার ও বিজেপির স্বঘোষিত সমর্থক হয়েছেন। নানা বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তকে শুধু সমর্থনই তিনি করছেন না, বিবাদেও জড়াচ্ছেন। এতকিছুর পরও সরকার বা বিজেপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো বার্তা আসেনি।

আরও পড়ুন

মাদারীপুরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যার প্রার্থীর মিছিলে হামলা, আহত ১৫

news24bd.tv এসএম