পোশাকের সঙ্গে ধর্মের নয়; কর্মের সম্পর্ক

সেই ছোটবেলায় একবার স্কুলের সরস্বতী পূজার গানের অনুষ্ঠানে ধূতি পরে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে জানলাম পাড়ার চায়ের দোকানে অনেকে বলাবলি করেছে আমি নাকি হিন্দু হয়ে গেছি। সেটা বহুকাল আগের কথা। তখনও বাংলাদেশের অর্ধিকাংশ অঞ্চলে বিদ্যুতের আলোই পৌঁছায়নি, তাই শিক্ষার আলো প্রত্যাশিত ছিলো না।  

কিছুদিন আগে নেকফ্লিক্সের এক বৃটিশ সিরিজের শুটিঙের জন্য ইংলিশ ট্র্যাডিশনাল পোষাক পরেছিলাম। বলাবাহুল্য তাতে ক্রুশ বা রোজারি ছিলো না; শুধু ব্লেজার ও হ্যাট ছিলো। গতকাল সেই পোশাকের একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম; তাতে এক ভাই কমেন্ট করেছেন “মুসলিম হয়েও খির্ষ্টান সাজে বাঙালী”। এই ভাইটার মতো মানুষের সংখ্যা কি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ? 

আরও পড়ুন:

অঝোরে কাঁদলেন মেয়র জাহাঙ্গীর

বেগম জিয়াকে ভয় পায় সরকার: মান্না

পৃথিবীর একদিকে বিজ্ঞানীরা মানুষ বাঁচাতে কৃত্তিম অর্গান তৈরি করছে, পশুর কিডনি মানুষের শরীরে স্থাপন করে সফল হচ্ছে, মহাকাশ ও আলোকরশ্নি ভেদ করে পৃথিবীর বাইরে অন্য একটা পৃথিবী গড়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছে। অথচ আমাদের সমাজে কিছু মানুষ ঠিক বিপরীত অন্ধকারের দিকে ছুটছে। এই মানুষগলো অন্যের পোশাক আর ধর্ম পরিক্ষা নিতে ব্যাস্ত রয়েছে।

যাইহোক, আপনারা আমাকে কোন দৃষ্টিতে দেখবেন সেটা একান্তই আপনাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আমি আমাকে আমার কর্মে তৃপ্ত রাখতে চাই। ৪ হাজার ৯৭৪ মাইল দূরে থেকেও সকলের জন্য শুভকামনা।

লেখাটি প্রীতম আহমেদ- এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv নাজিম