মিশরের চিকিৎসকেরা অনাগত সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারতেন

এই প্যাপিরাসটা সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরোনো। লেখা আছে প্রেগন্যান্সি টেস্টের বিবরণ। প্রাচীন মিশরের চিকিৎসকেরা খুব একুইরেট প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারতেন। শুধু তাইনা, অনাগত সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারতেন। ভাবা যায়, সেই সাড়ে তিন হাজার বছর আগে সেই স্কিল মানুষের ছিলো। অবশ্য আজকেও সেই একই প্রিন্সিপল বা পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা হয়।

সেই সময়েও ইউরিন টেস্ট করেই এই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা হতো। যার পরীক্ষা হবে তার ইউরিন নিয়ে বার্লি আর যবের বীজ ভিজানো হতো আলাদা করে। যদি এই বীজে অঙ্কুরোদগম হতো তাহলে ধরে নেয়া হতো মহিলা সন্তানসম্ভবা। যদি বার্লির অঙ্কুরোদগম আগে হতো তাহলে অনাগত সন্তানটা ছেলে আর যবের অঙ্কুরোদগম আগে হলে অনাগত সন্তানটি হতো মেয়ে।

  এখন প্রশ্ন হতে পারে কীভাবে এটা সম্ভব হতো। আজকে জানা গেছে প্রেগন্যান্সির সময়ে উচু মাত্রার এস্ট্রোজেন যব আর বার্লির অঙ্কুরোদগম ঘটায়। এস্ট্রোজেন বেশী থাকলে তা বার্লির অঙ্কুরোদগমকে দ্রুত করে। আর বেশী এস্ট্রোজেন মাত্রা থাকলে ছেলে জন্মানোর সম্ভাবনা বাড়ে।

আরও পড়ুন:

সিএনএনের সংবাদ উপস্থাপক বরখাস্ত

চট্টগ্রামেও হাফ ভাড়া নেওয়ার ঘোষণা 

বেশী প্রজেস্টোরন থাকলে তা যবের অঙ্কুরোদগম দ্রুত করে। বেশী প্রজেস্টোরন মাত্রা মেয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা বাড়ায়।  

তো আমরা সাড়ে তিন হাজার বছরে এগিয়েছি কতটুকু?

লেখাটি শান্তা আনোয়ার-এর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত (লেখাটির আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

 news24bd.tv/এমি-জান্নাত