আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ১৪ দিন পর যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্বপন হোসেন (৩৫) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছে। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যায়।

নিহত স্বপন উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও কবিরপুর গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে। যুবলীগ কর্মীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র আশরাফুল আজম ও  উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান ইকুর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের গত ১৭ই ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় শৈলকুপা উপজেলা হাসপাতালের সামনে চায়ের দোকানে ইকুর সমর্থক স্বপন (৩৫) ও রাব্বি (৩০) নামের দুই যুবলীগ কর্মী বসে ছিল। এ সময় ১০-১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল রামদা, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে তাদের কে ধাওয়া করে। সে সময় তারা দু’জনেই সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। চেষ্টায় ব্যর্থ প্রাণ ভয়ে তারা পালানোর চেষ্টাকালে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে তাদের দু’জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং ২টি মোটরসাইকেল ভা‌ঙচুর করে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবন্নতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বপনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন তিনি। এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টার মামলা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত হওয়ার সংবাদ শুনেছি। অপরাধী যেই হোক কাউকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। তবে এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন

সিরাজগঞ্জে বাস উল্টে অটোভ্যানের ওপর, নিহত ৪

news24bd.tv এসএম