বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে যেন প্রাণ ফিরে পায় বাংলাদেশ

আজ ১০ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার এই প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে যেন প্রাণ ফিরে পায় বাংলাদেশ।

স্বাধীনতা এসেছে, কিন্তু তার পূর্ণতা নেই। কারণ স্বাধীনতার স্থপতি তখনও ফেরেননি নিজ দেশে। জাতির জনকের ভাবনায় ব্যাকুল প্রতিটি বাঙালীর প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে ৭২ এর ১০ই জানুয়ারী বিকেলে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বৃটিশ বিমানটি অবতরণ করলো ঢাকায়, তখন সেখানে লক্ষ মানুষের ভিড় আর কোটি মানুষের হৃদয় নিংরানো আবেগ। যে বিমানবন্দর দিয়ে তাকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দিয়ে, সে তেজগা বিমানবন্দরেই তিনি ফিরলেন রাষ্ট্রনায়ক হয়ে।

৭ জানুয়ারি পাকিস্তানী সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে প্রথমে লন্ডনে পাঠায়। বাংলাদেশকে তখনো স্বীকৃতি না দেয়া যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ সকল প্রটোকল ভেঙ্গে তার অবকাশ সংক্ষিপ্ত করেন। ছুটে আসেন ডাউনিং স্ট্রীটে নতুন দেশের রাষ্ট্র নায়ককে স্বাগত জানাতে।

লন্ডন থেকে ঢাকা ফেরার পথে কিছুক্ষনের যাত্রা বিরতি ছিল নয়া দিল্লীতে। সেখানে তাকে দেয়া নজির বিহীন অভ্যর্থনায় উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি।

আরও পড়ুন:

যেসব কাজ নীরবে আমল নষ্ট করে

এর আগে মুক্তি যুদ্ধের শুরুতে বেতার বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পরপরই ৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে আটক করে নিয়ে যায় পাকিস্তানী বাহিনী। বঙ্গবন্ধুর আহবানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া লক্ষকোটি বাঙালী কয়েক মাস জানতো না কোথায় আছেন বঙ্গবন্ধু কিংবা কি ঘটেছে তার ভাগ্যে।

news24bd.tv রিমু