জলবায়ু পরিবর্তনে উপকূলীয় এলাকার ৪০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত 

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৪০ লাখ শিশু নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গ্রাম এলাকায় দুর্যোগের ফলে তাদের শিক্ষা-বিনোদন ব্যাহত হচ্ছে। জীবিকার অনিশ্চয়তায় গ্রাম ছেড়ে অনেক শিশু পরিবারের সঙ্গে শহরে এসে বসবাস করছে বস্তিতে।

অনেক শিশুর বাল্যবিয়ে হচ্ছে, বাধ্য হচ্ছে শিশুশ্রমে যেতে। এমন পরিস্থিতি উত্তরণে উপকূলীয় এলাকায় শিশুদের সুরক্ষায় ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছেন গবেষক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।  

খুলনার দক্ষিণপ্রান্তে প্রত্যন্ত কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ও দক্ষিণ বেতকাশী ইউনিয়ন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্নিঝড় জলোচ্ছ্বাসে প্রতিবছর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।  

লবণাক্ততায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষি জমি মাছের ঘের। সেই সাথে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। প্রতিকুল পরিবেশে অনেক শিশুকেই লেখাপড়া বাদ দিয়ে নামতে হয় জীবনযুদ্ধে।

আবার জীবিকার অনিশ্চয়তায় গ্রাম ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে শহরে এসে বস্তিতে বসবাস করছে অনেক শিশু। পাচ্ছে না প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার। বাল্যবিয়ে হচ্ছে অনেক শিশুর, বাধ্য হচ্ছে শিশুশ্রমে যেতে। বিবর্ণ শৈশব ঘিরে সবসময় হতাশায় থাকে এসব শিশুরা।

এমন প্রেক্ষাপটে  খুলনার উপকূলীয় শিশুদের অংশগ্রহণে সম্প্রতি ব্যতিক্রমী জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগ্রত যুব সংঘ-জেজেএস। সেখানে শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধির কথা বলছেন আয়োজকরা

এদিকে, পরিস্থিতি উন্নয়নে সচেতনতা বৃদ্ধি, জলবায়ু ক্ষতি মোকাবেলায় অর্থায়নসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছেন গবেষক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলা ও উপকুলের শিশুদের সুরক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের মানুষের।

news24bd.tv/ নাজিম