বগুড়ায় স্বামী দেশে এসে জানলো তার স্ত্রী ও সম্পত্তি অন্যের!

২০০৫ সালে বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকা রজনীকে বিয়ে করেন মাহফুজার রহমান । এরপর ২০০৮ সালে  স্ত্রী রজনীকে বাড়িতে রেখে মালয়েশিয়া যায় স্বামী। এরপর দীর্ঘ ১৪ বছর প্রবাসে পরিশ্রম করেন মাহফুজার। প্রবাসের কষ্টার্জিত আয়ের সবটাই স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন মাহফুজার। প্রবাসে অবস্থানের সময়েও সব সময় স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ ছিলো তার। তাই প্রিয় স্ত্রীকে নিয়ে মনে কোন প্রকারের সন্দেহ আসেনি প্রবাসী মাহফুজার রহমানের। কিন্তু তিলে তিলে যেই সংসারের জন্য তার এত ত্যাগ সেই স্ত্রীর ঠানে দেশে এসে তার মাথায় যেন  আকাশ ভেঙে পড়লো। যে স্ত্রীকে এত বিশ্বাস করতেন, তার পাঠানো টাকায় জমি কিনেছেন, বাড়ি করেছেন; সেই স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে তারই এক মামাতো ভাইকে বিয়ে করেছেন। মাহফুজার রহমান বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও শাজাহানপুর আমলি আদালতে প্রতারণা এবং দেড় কোটি টাকার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্ত্রীসহ আটজনের নামে মামলা করেছেন প্রবাস ফেরত মাহফুজার রহমান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আইনজীবী উৎপল কুমার বাগচি জানান, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৮ মের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মাহফুজার রহমান জানান, তিনি প্রায় ১৪ বছর মালয়েশিয়ায় ছিলেন। এ সময় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, পৈতৃক সম্পত্তি ইজারার টাকাসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা তার স্ত্রী রজনীকে দিয়েছেন। গত ২০ জানুয়ারি তিনি দেশে ফেরেন। নিজের টাকায় নির্মিত বাড়িতে উঠতে গিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী রজনী তাকে তালাক দিয়ে মামাতো ভাই রেজাউল করিমকে বিয়ে করে সেই বাড়িতে বসবাস করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রজনী খাতুন বলেন, মাহফুজার রহমান আমাকে কোনো কিছুই দেয়নি। তাই আমি আমার নিজের প্রয়োজনে আবার বিয়ে করেছি।

news24bd.tv/আলী