শ্রীলঙ্কায় শিশু খাদ্য ও জরুরী ওষুধের সংকট

ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় নিত্যপণ্যের জন্য হাহাকার দিনে দিনে তীব্র হচ্ছে। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় চলতি বছরে দেশটির প্রয়োজন তিনশ থেকে চারশ কোটি ডলার। এরিমাঝে সাত দশকের মধ্যে চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কার ঋণ খেলাপি হওয়ার প্রক্রিয়া ‍শুরু হয়ে গেছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বের বড় দুটি ক্রেডিট রেটিং সংস্থা।  

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন নয় বরং পাশ্ববর্তি দেশ শ্রীলঙ্কায় তেল,গ্যাস নেই, শিশু খাদ্য এমনকি জরুরী ওষুধেও সংকট দেখা দিয়েছে। তার ওপর ঘাড়ের ওপর ৫১ বিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝায় দিশেহারা দেশটির সরকার।  

চলতি বছরে দেশটিকে অন্তত ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আগামী সপ্তাহেই শোধ করতে হবে ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ৩০ দিনের মধ্যেই তা পরিশোধ করা না গেলে প্রথমবারের মত খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হবে ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হওয়া দেশটি। আর বিদেশি ঋণের কিস্তি যে আপাতত শোধ করা যাচ্ছে না, এরিমাঝে তা স্বীকার করেছে শ্রীলংকান সরকার।  

শ্রীলঙ্কার ঋণমান তলানিতে নামিয়ে এনে ফিচ রেটিং বলেছে, খেলাপি হওয়ার পথে গোতাবায়া রাজা পাকসে। একই ধরনের ঘোষণা দিয়ে এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংস বলেছে, শ্রীলঙ্কা যে খেলাপি হতে যাচ্ছে, তা এখন  দৃশ্যমানভাবেই নিশ্চিত।

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ঋণ পেতে আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের আইএমএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে শ্রীলঙ্কায় সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। news24bd.tv/আলী