দেশে বর্তমানে মহামারি করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংক্রমণ ও নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আগের তুলনায় কম। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বাড়ছে।
গত রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পাশের দেশ ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়তে পারে। বলেন, রোগ বিশেষজ্ঞদেরও আশঙ্কা, আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে করোনার নতুন ঢেউ আসতে পারে।
কভিড-১৯-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও বলছে, বাংলাদেশে কভিড-১৯-এর সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও পাশের দেশসহ এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, যা উদ্বেগজনক।
কমিটির আশঙ্কা, এখন থেকেই সতর্ক না হলে দেশেও সংক্রমণ বাড়তে পারে। এ বিষয়ে পরামর্শক কমিটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে ছয় দফা সুপারিশ করেছে তারা।
গতকাল সোমবার কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সুপারিশের বিষয়ে জানানো হয়।
রবিবার কভিড-১৯-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি। একইসঙ্গে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে প্রচার বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়। যেসব দেশে সংক্রমণের হার বেশি, সেই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আগমনের ক্ষেত্রে টিকা নেয়া থাকলেও কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিশ্চিত করা এবং সব বন্দরে জনগণের প্রবেশ পথে স্ক্রিনিং জোরদারকরণের পরামর্শ দেয়া হয়। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে বাজার, কেনাকাটা এবং ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতের সময় মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া তারাবির নামাজ ও ঈদ জামাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেয়া হয়।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালগুলোর সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে সভা আয়োজন করে এই বিষয়ক প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়ার সুপারিশ করা হয়। কোভিড নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজন করে সবাইকে করোনা নিয়ন্ত্রণে সতর্কাবস্থানে থাকার সুপারিশ করা হয়। সভায় জিনোম সিকোয়েন্সিং ও সার্ভেলিয়েন্স জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।
news24bd.tv/রিমু