যুক্তরাষ্ট্রে শিশুখাদ্যের হাহাকার

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বাজার ঘুরেও মিলছে না শিশুদের জন্য দুধ এবং ইন্সট্যান্ট ফুড। করোনা মহামারিতে কাচামালের সংকট সেইসাথে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে বিশ্বব্যাপী বেড়েছে জ্বালানিসহ কাচামাল এবং আনুষাঙ্গিক পণ্যের দাম। এতে কমে গেছে শিশুখাদ্যের উৎপাদন। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে দেখা দিয়েছে শিশুখাদ্যের হাহাকার।

চলতি মাসের শুরুতেই চাহিদার অর্ধেকে নেমে আসে যোগান। বাজারে শিশুখাদ্য যা-ই আছে, তার দাম নাগালের বাইরে। ফলে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি।

ছোট্র শিশুর ক্ষুধা মেটাতে হন্য হয়ে খাবার বানোর চেষ্টা করছেন এক দম্পতি। অবশেষে ফুরিয়ে যাওয়া খাদ্যের প্যাকেট ধুয়ে মুছেই তার সাথে কিছুটা পানি দিয়ে শিশুর মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন কিম আনাত্রা। গেল কয়দিন শিশুর খাবারের সন্ধানে ছুটে বেড়িয়েছেন। তবে দোকানে দোকোনে  নানারকম পণ্য থাকলেও, ভিন্ন চিত্র শিশুখাদ্যের ক্ষেত্রে। সরবরাহ কম থাকায় নেই শিশুখাদ্য। ফলে চরম সঙ্কটে শিশু এবং অভিভাবকরা।

কিম আনাত্রা বলেন, দেখুন কতটা সংকট, এভাবে কয়দিন ছুটতে পারি। নানা উপায়ে খাবার বানানো আমার জন্য বেশ কঠিন।

তিনি জানান, শিশুর জন্য যথেষ্ট খাবার না পাওয়াটা বেশ হতাশার। যা আছে তার দামও চড়া। বাজারের এই পরিস্থিতিতে আমরা কী অবস্থায় আছি একবার কল্পনা করুন।  

তবে সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, 'আমি জানি অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত শিশুর ফর্মুলা খুঁজে বের করার বিষয়ে চিন্তিত। আমি দ্রুত খাদ্য আমদানির জন্য প্রশাননকে নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত সমাধান হবে'।

মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক সংস্থা এফডিএ জানায়, বৈশ্বিক কাচামালের সঙ্কটের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে একটি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সঙ্কট।  

news24bd.tv/রিমু