মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আনুশা চৌধুরীর হাত ধরে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ‘লেটস টক মেন্টাল হেলথ’।
তাঁর একান্ত প্রচেষ্টায় সংগঠনটি দেশ-বিদেশের অগণিত মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে।
মানসিক স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই অসামান্য অবদানের জন্য এ বছর তিনি ভূষিত হয়েছেন সম্মানজনক ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডে।
আনুশা চৌধুরী কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (সিইউবি) এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্বপালন করছেন।
একজন কাছের বন্ধুকে মানসিক অসুস্থতার কাছে হেরে যেতে দেখে আনুশা চৌধুরী ‘লেটস টক মেন্টাল হেলথ’ প্রতিষ্ঠানের গোড়াপত্তন করেন। বিভিন্ন শিল্পের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করাই এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সূচনালগ্ন থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বিপুল সাড়া পাওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি আজ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থাতে রূপান্তরিত হয়েছে।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কার ভাঙতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আনুশা চৌধুরী ও তার সংগঠন লেটস টক মেন্টাল হেলথ। দেশে বিদেশে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষকে ‘মেন্টাল হেলথ কাউন্সিলিং’ এর অওতায় নিয়ে আসা হয়েছে এই সংস্থের পক্ষ হতে।
অনুশা চৌধুরী স্বপ্ন দেখেন এমন একটা পৃথিবীর, যেখানে প্রত্যেকে মানসিক সুস্থতা নিয়ে সচেতন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই এমন একটা পৃথিবীর দাবিদার যেখানে সহমর্মিতা আর সহানুভুতির চর্চা হয়। ’ আর এ লক্ষ্যে তিনি আমৃত্যু কাজ করে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
সম্প্রতি Harvard Business School Online তাদের ইন্সটাগ্রাম হাইলাইটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আনুশা চৌধুরীর অনন্যসাধারণ কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এছাড়া তার সংগঠন বিভিন্ন আয়োজন ও প্রচার চালিয়ে ১২ লাখেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভবিষতে Let’s Talk mental Health কার্যক্রম আরও ব্যাপকভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আনুশা চৌধুরী ও সংগঠনটির অন্যান স্বেচ্ছাসেবীরা। মুঠোফোনের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য একটি মোবাইল এ্যপ্লিকেশন ও তৈরির কার্যক্রম চলছে।
news24bd.tv তৌহিদ