গত বছরের শুরুতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে জান্তা সরকার। এরপর থেকে দেশটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। বর্তমানে দেশটির মানুষের অবস্থা খারাপ থেকে ‘ভয়ঙ্কর’ হয়ে গেছে। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক টম অ্যান্ড্রুস বলেছেন, ‘গত বছর সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের ৫৪ মিলিয়ন মানুষের অবস্থা খারাপ থেকে ভয়ঙ্কর হয়ে গেছে। ’
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে টম বলেন, ‘২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের কারণে সৃষ্ট সংকটের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ করছে। বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
গত বুধবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে একটি স্কুলে গুলি বর্ষণের ঘটনায় ১১ শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এর ঠিক একদিন বাদেই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে দেশটি নিয়ে এমন বার্তা দিলেন টম।
২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় বসে মিন অং হ্লাইং নেতৃত্বাধীন জান্তা সরকার। ওই দিনই সু চিসহ দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরেই দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ থামাতে বলপ্রয়োগ করতে থাকে জান্তা সরকার। এর জেরে অস্ত্র হাতে তুলে নেয় দেশটির বেশকিছু জনগণ।
একটি পর্যবেক্ষক দলের তথ্য মতে, অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে দুই হাজার তিনশ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাজার হাজার নাগরিককে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে টম বলেন, ‘মিয়ানমারে আটককৃতদের মধ্যে ২৯৫ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া ৮৪ রাজনৈতিক বন্দিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। ’
গত সপ্তাহে মিয়ানমার ইস্যুতে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একইরকম কথা বলেছিলেন মিয়ানমার বিষয়ক স্বাধীন তদন্তকারী দলের প্রধান। দেশটিতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহারের মাত্রা এবং পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে জানান তদন্তকারী দলের প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান।
news24bd.tv/মামুন