তেল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণার পরপরই সৌদি আরবকে হুশিয়ারি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দু’দেশের সম্পর্ককে পুনর্মূল্যায়ন করার কথা বলে সৌদিকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে এর কদিন পরই কিয়েভকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা দেয় সৌদি। এরপর সুর নরম হয় যুক্তরাষ্ট্রের।
রোববার বার্তা সংস্থা সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘এটি এমন একটি সম্পর্ক যা বহু দশক ধরে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। তাই প্রেসিডেন্ট অবিলম্বে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।
এর আগে গত সপ্তাহে ২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয় সৌদি আরবের রিয়াদের নেতৃত্বাধীন ওপেক প্লাস জোট। ফলে রাশিয়ার তেল বিক্রি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। অন্যদিকে পশ্চিমাদের দীর্ঘদিনের দাবি, এই তেল বিক্রির টাকায় ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। সৌদি তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণার পরপরই তাই নড়েচড়ে বসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সে সময় প্রেসিডেন্টের সাথে সুর মিলিয়ে সুলিভান বলেছিলেন, বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কের সমস্ত দিক পরীক্ষা করবেন, রাজ্যে অস্ত্র বিক্রির পুনর্বিবেচনা করবেন। তবে এবার সুর নরম করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ‘আমেরিকান জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও পরামর্শ নেওয়ার সময় আছে। ’
পরের মাসে জি-২০ সম্মেলনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা বাইডেনের তা জানতে চাইলে সুলিভান বলেন, ‘এ ধরনের বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই ‘ এছাড়াও কথা বলেছেন রাশিয়ার পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সালামির মাধ্যমে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার টুকরো টুকরো করতে যাচ্ছি না। কৃষ্ণ সাগরের মধ্যে ওডেসা বন্দর এবং অন্যান্য শহর রয়েছে যেখান থেকে ইউক্রেনীয়রা বর্তমানে বিশ্ববাজারে শস্য রপ্তানি করছে। পারমাণবিক অস্ত্র এখানে ব্যবহারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, আমি মনে করি, একটি বিপজ্জনক ধারণা। ’
news24bd.tv/আমিরুল