নাটোর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. জিয়াউর রহিমের বিরুদ্ধে এসএসসির মূল্যায়ন পরীক্ষা একটি কোচিং সেন্টারের প্রশ্নপত্রে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টিকে কাকতালীয় বলছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর নাটোর জেলার উপশহর এলাকায় ‘সুমন শিক্ষা নিবাস’ নামে একটি কোচিং সেন্টারের দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের বহুনির্বাচনী অংশের সঙ্গে একই মাসের ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নাটোর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া যায়।
তবে প্রশ্নপত্র হুবহু মিলে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. জিয়াউর রহিম বলেন, ‘প্রশ্নপত্র মিলে যাওয়ার বিষয়টি কাকতালীয়। শিক্ষার্থীদের অনুরোধে প্রশ্ন সহজ করার জন্য নির্বাচনী পরীক্ষায় একটি মডেল থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। তবে এটা কোনো কোচিং সেন্টারের সঙ্গে মিলে যাবে সেটা ভাবিনি। আমি ওই কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত না।
এ বিষয়ে কোচিং সেন্টারটির পরিচালক সুমন জানান, কোচিং সেন্টারে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এজন্য নতুন নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করা কঠিন হয়ে যায়। ফলে বিভিন্ন গাইড বইয়ের মডেল থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। নাটোর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় ৩৫ জন শিক্ষার্থী তার কোচিংয়ে পড়লেও শিক্ষক জিয়াউর রহিমের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
এ ব্যাপারে কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ওই কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত। বিদ্যালয়ের প্রস্তুতি পরীক্ষার আগে কোচিংয়ে প্রস্তুতি পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাদের কোচিংয়ে শিক্ষার্থী টানতে ওই শিক্ষক এমনটি করেছেন বলে দাবি অভিভাবকদের।
এদিকে নাটোর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ জানান , এসএসসির মূল্যায়ন পরীক্ষা একটি কোচিং সেন্টারের প্রশ্নপত্রে নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
news24bd.tv/হারুন