নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিলের টিম 
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিলের টিম 

‘টিম ডায়মন্ডস’ এর সদস্যরা

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিলের টিম 

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২২ প্রতিযোগিতায় ‘মোস্ট ইন্সপিরেশনাল’ প্রোজেক্ট হিসেবে এ বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের দল ‘টিম ডায়মন্ডস’। বাংলাদেশ সময় গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আমেরিকার ‘ন্যাশনাল এরোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (নাসা) একটি অনুষ্ঠানে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে। ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে সরাসরি সারাবিশ্বে এটি প্রচারিত হয়।  

টিম ডায়মন্ডসের সদস্যরা হলেন টিসা খন্দকার (টিম লিডার), মুনিম আহমেদ (সিস্টেম ডিজাইনার), ইঞ্জামামুল হক সনেট (সিস্টেম আর্কিটেক্ট), আবু নিয়াজ (সিস্টেম ডেভেলপার) ও জারিন চৌধুরী (রিসার্চার)।

উপদেষ্টা. প্রফেসর ড. তৌহিদ ভূঁইয়া ও মেন্টর সহযোগী অধ্যাপক খালিদ সোহেল।

এটি নাসা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত একটি আন্তর্জাতিক হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। এ বছর নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ- ২০২২ এ বিশ্বের ১৬২টি দেশ থেকে ২ হাজার ৮১৪টি টিম অংশগ্রহণ করেছিল এবং সবকিছু যাচাই-বাচাই প্রক্রিয়া শেষে এ বছর গ্লোবাল নমিনেশন পেয়েছিল বিশ্বের ৪২০টি দল। পরিশেষে, আন্তর্জাতিকভাবে সব বিচার প্রক্রিয়া শেষে মাত্র ৩৫টি টিম ‘গ্লোবাল ফাইনালিস্ট’ এ জায়গা করে নিয়েছে।

৩৫টি দলের এই তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশি দল হিসেবে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২২ এর গ্লোবাল ফাইনালিস্টে জায়গা করে নিয়েছিল ‘টিম ডায়মন্ডস’। বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস’ বা বেসিস। ! 

বিজয়ী দলের প্রজেক্ট ‘ডাইমন্ড ইন দ্য স্কাই’ একটি ইন্টারেক্টিভ গেমভিত্তিক স্পেস লার্নিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে বাচ্চারা নক্ষত্রদের পরিবর্তন (রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা ও ভরের পরিবর্তন) এর পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে। গেমটি খেলার মাধ্যমে বাচ্চারা তাদের নিজস্ব নক্ষত্র তৈরি থেকে শুরু করে নক্ষত্রগুলোর প্যাটার্ন, রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন প্রেডিক্ট করতে পারবে। এর উদ্দেশ্য ছিল বাচ্চাদের তারার ঝিকিমিকি, রাতের আকাশের ধীরগতি পরিবর্তন এবং কেন ঘটেছিল তা বোঝার সুযোগ দেওয়া।  

তারা বলেছে, আমাদের বিশ্বাস যে, আমাদের অ্যাপটি মানুষকে ছোটবেলা থেকেই মহাকাশের আজানাকে জানাতে এবং অদেখা কে দেখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষার্থীদের এ সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়্যারম্যান ড. মো. সবুর খান ও উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান টিম দলের সদস্যদের অভিনন্দন জানান।  

news24bd.tv/ইস্রাফিল