শেয়ার ধসে গৌতম আদানির লোকসান ৪ হাজার ৮শ কোটি ডলার

সংগৃহীত ছবি

শেয়ার ধসে গৌতম আদানির লোকসান ৪ হাজার ৮শ কোটি ডলার

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শর্ট-সেলারের এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে ধস নেমেছে। বুধবার থেকে মাত্র তিন দিনে ভারতের ‍শেয়ারবাজারে ৮ হাজার ৮'শ কোটি ডলার লোকসানের শিকার হয়েছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপ। এর মাধ্যমে গৌতম আদানি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় চার ধাপ পিছিয়ে শুক্রবার সপ্তম স্থানে নেমে এসেছেন।  

আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে হিডেনবার্গ রিসার্চ উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন নামে ভারতের বাইরে কর এড়িয়ে একাধিক দেশে অবৈধভাবে ব্যবসা গড়ে তুলেছে।

তবে আদানি গোষ্ঠী এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আদানি এন্টারপ্রাইজ এফপিওর মাধ্যমে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাজার থেকে ২৫০ কোটি ডলার তোলার পরিকল্পনা করছিল। এফপিও হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি বাজারে অতিরিক্ত শেয়ার ছেড়ে অর্থ তোলে। হিনডেনবার্গ অবশ্য প্রতিবেদনে বলেছে, ‘আমাদের প্রাপ্ত তথ্যের কথা বাদই দিই, আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বাজারদর কমার পেছনে ৮৫ শতাংশ দায় তাদের আকাশচুম্বী মূল্যায়নের।

’ তারা আরও বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ড ও অন্যান্য দেশের ডেরিভেটিভ ব্যবহার করে অর্থ পাচার করা হচ্ছে।

আদানি এন্টারপ্রাইজ ও গ্রুপটির অন্যান্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে মরিশাসের একাধিক বিনিয়োগ তহবিলের বিনিয়োগ নিয়ে ভারতের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা আগেও প্রশ্ন তুলেছে। গত বছর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে আদানি গ্রুপের সম্পদ ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। কিন্তু একই সঙ্গে গ্রুপটির ঋণও বেড়েছে। তাদের মোট ঋণের পরিমাণ ২৪ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। এটা গ্রুপটির প্রাক্-সমন্বিত আয়ের সাত গুণ। বিশ্লেষকরা এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে গৌতম আদানি গত ডিসেম্বরে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘অনেক বিশ্লেষক প্রকৃতপক্ষে আমার ব্যবসার ধারা বুঝতে পারেননি। তবে আমার ঋণদাতারা, ব্যাংক ও বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা তা বোঝেন। আদানি যখনই শেয়ারবাজারে আসে, তখনই তারা আগ্রহ নিয়ে বিনিয়োগ করেন। সে কারণেই আমাদের এত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। ’

news24bd.tv/আজিজ