আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী ব্যাংক ঋণের সুদহারের সীমা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই পর্যায়ক্রমে তুলে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। তিনি বলেন, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে গতি থাকায় কেটে যাবে ডলার সঙ্কটও।
অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. আহসান মনসুর ও ডিসিসিআই'র সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রহমানের মতে, ব্যাংক সুদহারকে বাজারমুখী করা না হলে ডলার সঙ্কট ও মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দেয়া সম্ভব নয়। ঋণের সুদহারের সীমা বেঁধে রাখায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিনিয়োগও।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে ঋণের পুরো মেয়াদে সুদহারের আরোপিত সীমা তুলে নেওয়া হবে। এছাড়া আসছে জুলাইয়ের মধ্যে আমানত ও সুদহার স্থিতিশীল রাখতে চালু করা হবে করিডর–ব্যবস্থা।
ভোক্তা ঋণের সুদহার ইতিমধ্যে ১২ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সুদহারের সীমা তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও শিল্প খাতের ব্যাংকঋণের সুদহারের ৯ শতাংশ সীমা এখনো তুলে নেওয়া হয়নি।
মো. মেজবাউল হক বলেন, ভোক্তা ঋণের সুদহার ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ঋণের সীমাও তুলে নেয়া হবে। তবে তা করা হবে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে।
তিনি জানান, আমানতের তুলনায় ঋণ বেড়ে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে অনেক ব্যাংকই ভুগছে তারল্য সংকটে। তবে আমানত ও ঋণের সুদহার স্থিতিশীল রাখতে আইএমএফকে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারল্য ব্যবস্থাপনা ও পূর্বাভাস জানতে জুলাইয়ের মধ্যে করিডর–ব্যবস্থা চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
news24bd.tv/FA