মানুষ বাকশক্তিসম্পন্ন প্রাণী। মানুষকে কথা বলতেই হবে। এই কথা হতে পারে কোনো নর কিংবা নারীর সঙ্গে। প্রয়োজনে নারীর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেয় ইসলাম।
এক. মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী-পত্নীরা, তোমরা অন্য নারীদের মতো নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তাহলে পর-পুরুষের সঙ্গে এমনভাবে কথা বোলো না, যাতে অন্তরে যার ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে। ’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩২)
দুই. অন্য আয়াতে এসেছে, ‘...তোমরা তাঁর পত্নীদের কাছ থেকে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাইবে। ’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৫৩)
এই দুটি আয়াত ও বিভিন্ন হাদিসের আলোকে ইসলামিক স্কলাররা নারীদের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছেন। সেগুলো হলো—১. নির্জনে পর-নারীর সঙ্গে কথা বলবে না। ২. কথা বলার ক্ষেত্রে বৈধতার সীমারেখা অতিক্রম করবে না। ৩. অশ্লীল বা উত্তেজক কোনো কথা বলবে না। ৪. মোহগ্রস্ত করার লক্ষ্যে নরম স্বরে কথা বলবে না। ৫. নারী পূর্ণ পর্দার ভেতর থেকে কথা বলবে। ৬. প্রয়োজন-অতিরিক্ত কথা বলবে না। ৭. কাউকে আহত করে কোনো কথা বলবে না। ৮. ন্যায়সংগত ও উত্তম কথা বলবে।