চ্যালেঞ্জের মুখে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

সংগৃহীত ছবি

চ্যালেঞ্জের মুখে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

ফেরদৌস আরেফিন

বাগেরহাটে বহুল আলোচিত রামপাল তাপ বিদুৎকেন্দ্রে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসে গত বছরের আগস্টে। ডিসেম্বর থেকে এখানকার বিদ্যুৎ যোগ হতে থাকে জাতীয় গ্রিডে। তবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্প পরিচালক বলছেন, মার্চের পর কেন্দ্রটির জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি-কয়লার নিশ্চয়তা নেই।

একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, গ্রীষ্ম মৌসুমের চাহিদা মেটাতে রামপালের উৎপাদন চালু রাখা খুবই জরুরি।

গত ১৪ জানুয়ারি কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয় কয়লার অভাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা এনে আবারও সচল করতে লেগে যায় ২৬ দিন। ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারায় এমন সংকট দেখা দেয়।

প্রকল্প পরিচালক  সভাষ চন্দ্র পাণ্ডে বলেন, ‘দেড় লাখ টন কয়লা দরকার প্রতি মাসে এক ইউনিট বিদ্যুতের জন্য। যে কয়লা আসবে তাতে ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল-এই ২-৩ মাসের মজুত আছে বলা যায়। এলসি ওপেনিং চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, কোনো সমস্যা হবে না। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি ডলার না ছাড়ে তবে কী হবে বলা যায় না।

কেন্দ্রটির তথ্য মতে, একটি ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় চালাতে দিনে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পোড়াতে হয়। চলতি মাসের ৯ তারিখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আসে, তাতে চলার কথা ছয় দিন। ১৯ তারিখ আসে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা, তাতে চলবে আরও ১১ দিন। এখন পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়নি রামপালে।  

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রামপালের জ্বালানির সমস্যার সমাধান করতে হবে।

রামপালের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ পাওয়া যায় ১৪ থেকে ১৫ টাকা দরে। আর কয়লার দাম কমলে কমে যাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচও।

২০১২ সালে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি ও ভারতের এনটিপিসির যৌথ উদ্যোগে গঠন করা হয় মৈত্রী পাওয়ার কোম্পানি। তারাই নির্মাণ করছে দুই ইউনিটের ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

news24bd.tv/ইস্রাফিল