ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণকারী পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টকে সরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১ মার্চ) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- ইবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোয়াবিয়া।
আদালতে বলেছেন, সাময়িক বহিষ্কৃত পাঁচজন কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে না। এছাড়া নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে তিন দিনের মধ্যে তার পছন্দমতো হলে আবাসিকতা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হন ফুলপরী খাতুন।
ঘটনা তদন্তে হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইবি শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন থেকে একজন বিচারিক হাকিম, একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি সত্যতা পাওয়ায় সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচজনকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। তাদের বুধবার (১ মার্চ) দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে তাদের সংযুক্তি বাতিলের সুপারিশ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন...নির্যাতনকারীদের ছাত্রত্ব বাতিল চান ফুলপরী, চলছে মামলার প্রস্তুতি
news24bd.tv/আইএএম