একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মো. ফখরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন দক্ষিণ গোড়ান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
যুদ্ধপরাধী ফকরুজ্জামানের বাড়ি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার কলেজ রোড এলাকায়।
২০১৫ সালের ১৯ মে ময়মনসিংহের ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুনের মামলায় তার যাবজ্জীবন সাজা হয়।
২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল বাংলাদেশ-১, মিস কেস নং-১১/২০১৫, ধারা-৩, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল) আইন ১৯৭৩ মূলে পরোয়ানা জারি করলে হান্নানকে গুলশানের বাড়ি এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে গুলশান এলাকায় তার অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলায় অপর আসামী মো. ফখরুজ্জামান ও ছাব্বির পলাতক ছিলেন।
২০১৬ সালের ১১ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আসামিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় দাখিল করেন।
২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর মো. হরমুজ আলী, মো. আব্দুস সাত্তার, খন্দকার গোলাম রাব্বানী, খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমেদ ও মো. ফখরুজ্জামানসহ আট জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করেন। তারমধ্যে আগামী জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হান্নান, তার ছেলে রফিক সাজ্জাত ও মিজানুর রহমান মিন্টু মৃত্যুবরণ করেছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে বিচারপতি আৰু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে তিন সদস্যের বেঞ্চ গত ২০ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের গোলকীবাড়ী বাইলেনের প্রখ্যাত ভাস্কর আব্দুর রশিদকে অপহরণের পর হত্যা ও লাশ গুমের অপরাধে খরুজ্জমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে অন্য আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। যুদ্ধাপরাধী ফখরুজ্জামানকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
news24bd.tv/আইএএম