দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার একটি কয়লাখনিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে অন্তত ১১ খনি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। খনিতে আটকে পড়া ১০ জনকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। বুধবার দেশটির কুন্দিনামার্কা প্রদেশ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
নিকোলাস গার্সিয়া ব্লু রেডিওকে আজ বুধবার বলেন, রাজধানী বোগোটা থেকে ৭৪ কিলোমিটার উত্তরে সুতাতাওসা পৌরসভায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। খনির ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। শ্রমিকের হাতিয়ার থেকে স্ফুলিঙ্গ তৈরি হলে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটে।
গার্সিয়া সাংবাদিকদের বলেন, খনির ৭০০ থেকে ৯০০ মিটার গভীরে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশিত ছবিতে ফায়ার ফাইটার ও অন্য উদ্ধারকর্মীদের খনির প্রবেশ মুখে দেখা গেছে। আর বাইরে অপেক্ষায় আছেন আটকা পড়াদের স্বজনেরা।
গভর্নর জানান, আটকে পড়া খনি শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য শতাধিক উদ্ধারকর্মী কাজ করছেন। ‘একটি করে মিনিট যাওয়া মানে অক্সিজেন কমে যাওয়া। ’
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্র এক টুইটে এ দুর্ঘটনাকে একটি ‘ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করে ১১ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেছেন, ‘আটকে পড়াদের উদ্ধারে কুনদিনামারাকার সরকারের সঙ্গে মিলে আমরা সম্ভাব্য সব করছি। হতাহত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। ’
কলম্বিয়ায় সোনা ও কয়লার অসংখ্য উন্মুক্ত ও ভূগর্ভে খনি রয়েছে। যেসব খনিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয় না, সেগুলোতেই প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
২০১০ সালের জুনে দেশটির উত্তর–পশ্চিমে একটি ভয়াবহ খনি বিস্ফোরণে ৭৩ জন নিহত হয়েছিলেন। গত আগস্টে কুনদিনামারাকার একটি অননুমোদিত কয়লাখনি ধসে পড়েছিল। সেখান থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ২০২১ সালে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে খনি দুর্ঘটনায় ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।