‌‘অর্থ পাচার ও আর্থিক দুর্নীতির অভিনব পদ্ধতির উদ্ভাবক ড. ইউনূস’

উঠান বৈঠকে ড. সেলিম মাহমুদ

‌‘অর্থ পাচার ও আর্থিক দুর্নীতির অভিনব পদ্ধতির উদ্ভাবক ড. ইউনূস’

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, ড. ইউনূস তার অর্থ পাচার ও দুর্নীতির তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে, এ রকম তথ্য পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ৪০ জন ব্যক্তির নামে ৭৮ লাখ টাকার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তার স্বপক্ষে একটি হাস্যকর চারিত্রিক সনদ ছাপিয়েছেন। সুনির্দিষ্ট দালিলিক প্রমাণসহ তার অভিনব দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও লুটপাটের যে তথ্য সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে এটি প্রতীয়মান পৃথিবীর খুব কম দেশে এই ধরনের লুটপাট হয়েছে। কেও কেও তাকে বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণের উদ্ভাবক দাবি করলেও ড. ইউনূস মূলত অর্থ পাচার ও আর্থিক দুর্নীতির অভিনব পদ্ধতির উদ্ভাবক।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৬ নম্বর উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের সিং আড্ডা গ্রামে এবং ১ নম্বর সাচার ইউনিয়নের বায়েক গ্রামে 'দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন, শেখ হাসিনার অবদান’ শীর্ষক উঠান বৈঠকে ড. সেলিম মাহমুদ এসব কথা বলেন।

প্রধান আলোচকের আলোচনায় সেলিম মাহমুদ বলেন, গ্রামীণ টেলিকম সম্পূর্ণ অলাভজনক ও  দাতব্য উদ্দেশ্যে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত একটি কোম্পানি। দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণের লক্ষ্যেই এই প্রতিষ্ঠানকে সরকার অনুমোদন দিয়েছে। এই কোম্পানির কোনো ব্যক্তি মালিকানা নেই। আইন অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণের উদ্দেশ্য ছাড়া এই কোম্পানির কোনো অর্থ অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে হস্তান্তর করা যায় না।

অথচ গ্রামীণ টেলিকম থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আরেকটি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণের অনুকূলে বেআইনিভাবে হস্তান্তর হয়েছে। এই টাকা গ্রামীণ কল্যাণ থেকে অন্য জায়গায় নেওয়া হয়েছে। এভাবে কয়েকটি হাত ঘুরে এই বিপুল অর্থ সামাজিক ব্যবসার নামে বিদেশে পাচার হয়েছে।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, দেশের বিচারক-মন্ত্রী-সচিবদের ঘুষ দিতে ড. ইউনুস যেভাবে একটি দালাল চক্রের সাথে ঘৃণ্যতম চুক্তি করলেন, সেটি এদেশের প্রতিটি বিবেকবান মানুষকে হতভাগ করেছে। ঘুষ দেয়ার লক্ষ্যে কোনো কোম্পানির বোর্ড সভায় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দালাল চক্রের সাথে এরকম নেক্কারজনক চুক্তির ঘটনা অবিশ্বাস্য। এটি শুধু বেআইনিই নয়, এটি একটি অপরাধমূলক কাজ।

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা যুগান্তকারী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অবদানকে আড়াল করতে কিছুদিন পর পর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী নানা ধরনের নাটক মঞ্চস্থ করে। ড. ইউনুস হচ্ছেন এইরকম একটি নাটক। এদেশের মানুষসহ পৃথিবীর সারা বিশ্বের কাছে ড. ইউনুসের নেকাব খসে পড়েছে। তিনি এখন যত নাটকই করুক না কেন মানুষের কাছে তিনি এখন কেবলই একজন অর্থ পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ ও লুণ্ঠনকারী।

ড. সেলিম মাহমুদ তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মাঝে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে‌ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিস্তারিত অবদানের কথা উল্লেখ করেন। ‌শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ জ্বালানি, ভৌত কাঠামো, শিল্পায়ন, সমুদ্রসীমার জয়লাভ, নৌ ও বিমান যোগাযোগ, দারিদ্র বিমোচন ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই শেখ হাসিনা শুধু দক্ষিণ এশিয়া কিংবা এশিয়া মহাদেশে নয় সমগ্র  উন্নয়নশীল বিশ্বের উন্নয়ন যাত্রায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। কিছু কিছু খাতে তার উন্নয়ন ১০০ বছরের উন্নয়ন কেও ছাড়িয়ে গেছে। ‌

কচুয়ায় বৈঠকগুলোতে বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, কচুয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম স্বপন, কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন হাতেম, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, ১ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসহাক সিকদার, ৪ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিব মজুমদার জয়, ৬ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার হোসেন, ৯ নং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহসান হাবীব জুয়েল,  ১২ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল মাওলা হেলাল, ৪ নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আহাদ, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, ৫ নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আহসান হাবিব প্রাঞ্জল, আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার হোসেন রানা, আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক শামীম,  আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগ মিয়া, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট শওকত পাটোয়ারী তুহিন, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপসম্পাদক কামাল পারভেজ মিয়াজী, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপসম্পাদক মোতালেব হোসেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সরকারসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গ।