প্রিয় নবীজি (সা.) প্রায় সব যুদ্ধে সঙ্গী বীর সাহাবি কাব ইবনে উজরা (রা.)। তঁার উপনাম ছিল আবু মুহাম্মদ/আবু ইসহাক। পিতা উজরা ইবনে উমাইয়া। তাঁর বংশপরম্পরা বালী গোত্রের সঙ্গে গিয়ে মিলে। সে হিসেবে তাঁকে বালাভী বলা হয়। তিনি ছিলেন প্রসদ্ধি সাহাবি হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) তাঁর জামাতা। আল্লামা ওয়াকিদি (রহ.)-এর মতে হজরত কাব ইবনে উজরা (রা.) একজন আনসারি সাহাবি। তবে অন্যদের মতে তিনি আনসারদের হালীফ, অর্থাত্ মৈত্রী-চুক্তিবদ্ধ বন্ধু। তবে কোন গোত্রের, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। (উসদুল গাবাহ : ৪/১৮১, ক্র. ৪৪৬৫; মুখতাসার তারিখে দিমাশক ২১/১৭৭-১৭৮; মুজামুস সাহাবা : ৫/১০০) প্রথম দিকে তিনি মূর্তি পূজার প্রতি আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে মহান আল্লাহ তঁার অন্তরে হেদায়েতের আলো জালিয়ে দিলে তিনি খাঁটি মনে তাওবা করে ইসলাম গ্রহণ করেন। এবং আজীবন ইসলামের প্রচার-প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা...
যার ইহরাম সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে আয়াত নাজিল হয়
মাইমুনা আক্তার

মৃত ব্যক্তিকে কাফন পরানোর নিয়ম
আহমাদ ইজাজ

কাফন তিন প্রকার। ১. সুন্নাত কাফন, ২. কেফায়া কাফন ও ৩ প্রয়োজনীয় কাফন। পুরুষের সুন্নাত কাফন হলো কামিস, ইজার ও লেফাফা। (মুসলিম, হাদিস : ১৫৬৫, মুআত্তা মুহাম্মদ ২/৮৮) পুরুষের কেফায়া কাফন হলো, ইজার ও লেফাফা। এর চেয়ে কম করা মাকরুহ। (বুখারি, হাদিস : ১১৮৬) পুরুষের জন্য প্রয়োজনীয় কাফন হলো, প্রয়োজনের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ কাফন পাওয়া যায়। সেটা শুধু সতর ঢাকা পরিমাণই হোক না কেন। (বুখারি, হাদিস : ১১৯৭) নারীদের সুন্নাত কাফন হলো লেফাফা, ইজার, কামিস, ওড়না ও সিনাবন্দ। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৪৫) নারীদের কেফায়া কাফন হলো, ইজার, লেফাফা ও ওড়না। (হেদায়া : ১/৮৯) নারীদের জরুরি কাফন হলো প্রয়োজনের সময় যতটুকু পাওয়া যায়। উত্তম হলো সিনাবন্দ বক্ষ থেকে রান পর্যন্ত হওয়া। (বুখারি, হাদিস : ১১৯৭) কাফনের কাপড় সাদা হওয়া উত্তম। (তিরমিজি, হাদিস : ৯১৫, মুসলিম, হাদিস : ১৫৬৩) ইজার মাথা থেকে পা পর্যন্ত...
ওয়াকফ আইনে মুতাওয়াল্লির ক্ষমতা
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

মুসলিম আইন অনুসারে মুতাওয়াল্লি ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপক। শিয়া আইনে মুতাওয়ালি্ল নিয়োগ বাধ্যতামূলক হলেও, সুন্নি আইনে তা বাধ্যতামূলক নয় (ঐচ্ছিক)। ইসলামী আইনানুসারে ওয়াকফ সম্পত্তিতে মুতাওয়ালি্লর কোনো অধিকার নেই এবং সম্পত্তি তার ওপর ন্যস্তও নয়। আধুনিক আইনের ট্রাস্টি-এর সঙ্গে মুতাওয়ালি্লর প্রায়োগিক পার্থক্য আছে। মুতাওয়ালি্ল একজন ব্যবস্থাপক বা পরিচালক মাত্র। কারা মুতাওয়াল্লি হতে পারবে : যে কোনো সুস্থ, প্রাপ্ত বয়স্ক ও ওয়াকফ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে সক্ষম ব্যক্তি মুতাওয়ালি্ল হিসেবে নিয়োগ পেতে পারে। অবশ্য একজন অপ্রাপ্ত শিশুও মুতাওয়ালি্ল হতে পারে যদি ওয়াকফ সম্পত্তি বংশীয়ধারায় পরিচালিত হয়ে আসে অথবা ওয়াকফ দলিলে উত্তরাধিকারীদের তত্ত্বাবধানের শর্তারোপ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনার ভার শিশুর ওপর ন্যস্ত...
কোরআনের তিন আলোচ্য বিষয়
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

কোরআনুল কারিম পার্থিব জীবনের যাবতীয় মূলনীতি ও বিধিবিধান বর্ণনা করেছে। ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের নীতিমালা, আকিদা-বিশ্বাস, ইবাদত-বন্দেগি, আখলাক, উত্তম আচরণ, লেনদেন, বিভিন্ন অধিকার ও শিষ্টাচার এসব সম্পর্কে কোরআনে সংক্ষপ্তি বা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে এগুলো মূল লক্ষ্য নয়; মূল লক্ষ্য হলো পরকালীন শান্তি ও সৌভাগ্যময় জীবন। এ কারণে কোরআন অধ্যয়ন করতে গেলেই দেখা যায়, আয়াতের শুরুতে, শেষে কিংবা মাঝখানে জান্নাত-জাহান্নাম, শান্তি বা শান্তি, উত্সাহ বা ভীতি প্রদর্শনের নানা বিবরণ। এ প্রসঙ্গে ইমাম শাতেবি (রহ.) বড় মূল্যবান একটি কথা লিখেছেন। তিনি বলেন, কোরআনুল কারিমের মেৌলিক বিষয় তিনটি ১. আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পবিত্র জাত ও সত্তার পরিচয় ২. তার সন্তুষ্টি লাভের পদ্ধতিসমূহের বিবরণ ৩. মানুষের শেষ পরিণতি প্রথম বিষয় : আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পবিত্র জাত ও...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর